ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে, আন্দোলন কি হবে?

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১

বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে, আন্দোলন কি হবে?

সম্প্রতি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরঅস্থিতিশীলতারআশঙ্কা প্রকাশ করে ছাত্রলীগকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

ওবায়দুল কাদেরের আশংকা অমূলক নয়। ঘোলা জলে মাছ শিকারী গোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগেই আন্দোলনের আল্টিমেটাম দিচ্ছে। ডাকসুর সাবেক ভিপি জামাত-শিবিরের সরাসরি এজেন্ট নূরুল হক নূর নতুন দলের নাম ঘোষণা করেছে। এই নূর তার দলসহ ছাত্রদল, বিএনপি, কিছু বাম দল  বিশ্ববিদ্যালয় খোলা কেন্দ্রিক আন্দোলনের জাল বুনছে।

 

এই বহুমাত্রিক চক্র যতটা গর্জে, ততটা বর্ষে না। তবে পচা শামুকেও পা কাটে, এই বিষয়টিও আমলে নেয়া দরকার। বিশেষ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মহান সংসদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানান। আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্যভাবে সেশনজট নেই। ফলে করোনার কারণে নষ্ট হওয়া দেড় বছর কিছুই না মর্মে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো হবে না যুক্তি দেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

 

এই বয়সসীমা বাড়ানো কে কেন্দ্র করে নূরুল হক নূর গং তাকে পেছনে থেকে সমর্থন দেয়া সিন্ডিকেট অস্থিতিশীল করার পায়তারা চালাতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

 

প্রথমত, এই চক্রটি ইতোমধ্যে কোটা বিরোধী আন্দোলন করে সফলতা পেয়েছে। তারা যদিও বলার চেষ্টা করে এটা কোটা সংস্কার আন্দোন ছিল। তবে তত্বগত ভাবেই এটি কোটা বিরোধী বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধা বিরোধী আন্দোলন ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকতেই এই দুষ্ট চক্রটি এই ধরনের ধৃষ্টতা দেখিয়েছিল।

 

দ্বিতীয়ত, বিএনপি নামক দলটির মাঠের কার্যক্রম নেই। জনসসম্পৃক্ততাও শূণ্যের কোটায়। ফলে দলটি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ইস্যু নিয়ে মাঠে নামতে চাইছে। পাশাপাশি নূর গংদের সাথেও রয়েছে দহরম মহরম। ছাড়া নাশকতা, বোমা হামলা, পেট্রোল বোমা হামলা করার প্রশিক্ষণও নখদর্পনে তাদের। ইস্যুকে কোনোভাবেই মিস করতে চাইবে না তারা।

 

তৃতীয়ত, নূরুসহ যাবতীয় সব বদের হাড্ডিদের মদদ দেয় শিবিরপ্রেমী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল তাদের কথিত সুশীল গং। তারা নিজেরা মনে-প্রাণে-জানে দলীয় নং তপ, কিন্তু তাদের চাহিদা সবসময়ই নির্দলীয়। ধরণের দ্বিচারি প্রচণ্ড অসহিষ্ণু সাম্প্রদায়িক মননে গড়া শিক্ষকসহ সুশীল সমাজও আগুনে ঘি ঢালতে বদ্ধ পরিকর।

 

চতুর্থত, ছাত্রলীগও তাদের অবস্থান ঠিকঠাক জানান দিতে পারছে না। সোশাল মিডিয়াতেও খুব একটা সক্রিয় নয় তারা। পাশাপাশি সমন্বয়হীনতা, কমিটি নেই, অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ টেন্ডারবাজিও করছে। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পালস ধরতে পারছে না। তাদের কাছাকাছি কনফিডেন্সে নিতে পারছে না।

 

এমতাবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা কেন্দ্রিক আন্দোলনের যথেষ্ট আশংকা আছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন যদি কঠোর হস্তে এই দুষ্ট চক্রদের দমন করতে না পারে তবে কোটা বিরোধী আন্দোলনের মতো দেশবিরোধী আরও একটি আন্দোলনও জাতি দেখতে পারে!


বাংলাইনসাইডার