ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, জুলাই ৩, ২০২৪ |

EN

এখনও জমে ওঠেনি ফুলবাড়ীর কামার পল্লী

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: সোমবার, জুলাই ৪, ২০২২

এখনও জমে ওঠেনি ফুলবাড়ীর কামার পল্লী
ঈদকে সামনে রেখে দু’সপ্তাহ আগে থেকে হাঁতুরী আর লোহার টুংটাং শব্দে মুখরিত থাকতো কামার পাড়াগুলো। কামারদের দম ফেলবার ফুসরত থাকতো না বিগত কোরবানির ঈদগুলোতে। 

দিন-রাত টুংটাং শব্দে মুখোরিত থাকতো কামারশালা গুলো। কিন্তু এবার ঈদে ভিন্ন চিত্র লক্ষ করা গেছে,দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কামার পল্লী গুলো, এবছর তাদের তেমন কর্মব্যস্ততা নেই বললেই চলে। 

সরেজমিনে পৌর শহরের সুজাপুর, কামারপাড়া, কাঁটাবাড়ী কামার পল্লী সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, আগের মত কর্মব্যস্ততা নেই কামার পল্লীতে। সকল ব্যবসায়ীরা যেন ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে সময় পার করছেন। আগের মতো কর্মব্যস্ততা নেই কামারদের। কয়েকটি কামারশালা খোলা থাকলেও নেই তেমন কাজের চাপ। ঈদকে ঘিরে নেই তাদের বাড়তি কোন প্রস্তুতিও। অল্পস্বল্প কামারদের কাজ চললেও বিক্রি নেই বললেই চলে। অনেকে আগে থেকেই দা, চাপাতি, ছুরি, চাকু বানিয়ে রাখছেন বিক্রির জন্য।

স্থানীয় কামার সুত্রে জানাযায়, প্রতিবছর ঈদুল আজহার সময় কোরবানির পশুর গোশত কাটার জন্য প্রচুর দা, চাপাতি, কুড়াল ও ছুরি, চাকুর চাহিদা থাকে। এসব তৈরি করতে কামাররা বছরের এই সময় খুবই ব্যস্ত থাকেন। অথচ এবার অজ্ঞাত কারণে কামার পাড়ায় বিক্রির তেমন কোন প্রভাব নেই। কারন হিসেবে জানতে তারা কিছুই বলতে পারছেনা।

পৌর শহরের কাঁটাবাড়ী কামারশালার পরিমল চন্দ্র রায়, কালি কান্ত রায়, কামার পাড়ার মানিক চন্দ্র রায়, সুজাপুরের সন্তোস রায় ও বিষ্ণু রায় জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে  কোরবানির ঈদের তেমন কোন কাজ নেই। তারপরও লোহা ও কয়লার দাম অনেক  বেড়ে গেছে।  

সুজাপুর গ্রামের সন্তোষ রায় বলেন,দীর্ঘদিনের কাজের অভিজ্ঞতায় তিনি এমন কর্মহীন জীবণ আগে কখনই দেখেননি। নিয়মানুযায়ী এখন তার কাজের ব্যস্ততায় কথা বলার সময় থাকার কথা না। কিন্তু এবছর কি যে হয়েছে কোন ক্রেতাই নেই এখন পর্যন্ত। এসময় দোকানে পুরাতন ও নতুন ধারালো অস্ত্র বানানো ও মেরামত করার ভীড় থাকে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলে এ ব্যস্ততা। কিন্তু বর্তমানে চিত্র একেবারেই উল্টো।

কাঁবাড়ী কাঠিহার ধার এলাকার পরিমল চন্দ্র রায় বলেন, কোরবানীর আর বাকী আছে মাত্র কয়েকদিন। অথচ এবার ক্রেতার কোন আনাগোনায় নেই। এবার ব্যবসার কি যে হবে বোঝা যাচ্ছে না।

সুজাপুর এলাকার কামার বিষ্ণু রায় বলেন, এখনও সময় আছে। অন্যান্য বছর আগে থেকেই ক্রেতারা দোকানে ভিড় করত, এবার যেহেতু এখনও ঈদের এক সপ্তহ বাকী আছে, তাই ঈদের ২/৩ দিন আগে থেকে ব্যস্ততা বাড়বে।
সেখানেই কথা হয় ক্রেতা বাদল আলীর সাথে তিনি বলেন, ছুরি, বটি, দাঁ প্রতি বছর আর কিনতে হয়না। এবার চামড়া ছড়ানোর জন্য কয়েকটা চাকু লাগবে তাই চাকু ক্রয় করতে এসেছি।

কথা হয় ক্রেতা মো. ফারুক হোসেনের সাথে, তিনি বলেন,সব জিনিসের প্রয়োজন নেই। আগেই যা বানিয়েছি সেইসব জিনিস ঠিক ঠাক এবং ধার করতে কামারের কাছে এসেছি।