কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্যাতিত ও ভূমিহীন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো প্রতারক ও নারী নির্যাতনকারী শহীদ আল বোখারী (মহাজাতক)-কে দ্রুত গ্রেফতার ও তার বিচার দাবি করে বলেন, শহীদ আল বোখারীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর জিম্মি থেকে আমরা বাঁচতে চাই এবং লামা, বান্দরবানে আমরা নিরাপদ বসবাস চাই। আমরা বোখারীর সন্ত্রাসীদের কারণে রাতে ছেলে-মেয়ে নিয়ে নিরাপদে ঘুমাতে পারি না। ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শহীদ আল বোখারী কর্তৃক ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. আব্দুল গফুর, মো. আশরাফ আলী, মো. খলিলুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. আবু রায়হান, মো. নাসির উদ্দিন, রহিমা বেগম, রাফিজা বেগম, মো. শাহা মিয়া, মো. আবুল কাশেম, মো. জসীম উদ্দিন, সালমা বেগম, মো. ইসমাইল, মো. আব্দুল রশীদ প্রমুখ।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, শহীদ আল বোখারী নিজেকে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান প্রচারক বলে দাবী করেন। তার বৈজ্ঞানিক কোয়ান্টাম মেডিটেশন একটি মহা প্রতারণা। তবে এটাই সত্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শহীদ আল বুখারীর (মহাজাতক) একজন মহাপ্রতারক ও ধর্ম বিদ্বেষী। তার তত্ত্বাবয়ধানে পরিচালিত লামা উপজেলার, ডলুছড়ী এলাকায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এখন একটি সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, জালিয়াত চক্র ও প্রতারণার প্রধান কার্যালয় হিসেবে গড়ে উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা বলেন, লামার ডলুছড়ী এলাকার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের যে অফিস আছে তাদের তত্ত্বাবয়ধানে প্রায় এক হাজার বেতনভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে। আজ আমাদের প্রশ্ন যাকাতের টাকায় সুদের ব্যবসা হয় কিভাবে? কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের এতো টাকা কোথায় থেকে আসে? সরকার ও দুর্নীতি দমণ কমিশন (দুদক)'র কাছে আমাদের আহ্বান অবিলম্বে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের আয় ও ব্যয়ের খাত তদন্ত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সংহতি জানিয়ে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিব নজরুল ইসলাম বাবলু বলেন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন মানবতার নামে কাজ করে! অথচ ভিতরে ভয়াবহ অনিয়ম চলছে এটা খুবই দুঃখজনক। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কি করে একটি আলাদা ধর্ম হয় ? এটা জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এধরনের কর্মকান্ড আজ সমগ্র জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমার মনে হয় কথিত মানবতার নামে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোকে সরকারের নজরদারিতে আনা উচিৎ।