ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

পি কে হালদারের বান্ধবী শুভ্রা রানীর দায় স্বীকার

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১

পি কে হালদারের বান্ধবী শুভ্রা রানীর দায় স্বীকার

রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) আরেক বান্ধবী ওয়াকামা ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান শুভ্রা রানী ঘোষ দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন

বৃহস্পতিবার ( সেপ্টম্বর) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে দুদক। এসময় আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন

এর আগে গত ২২ মার্চ শুভ্রা রানী ঘোষকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করে দুদক এরপর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয় এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান তার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন এরপর শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুভ্রা রানীসহ ১১ আসামি প্রতারণা জাল জালিয়াতির আশ্রয়ে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গ করে ক্ষমতার অব্যবহারের মাধ্যমে ভুয়া প্রতিষ্ঠান ওয়ামা লিমিটেডের নামে জাল রেকর্ডপত্র প্রস্তুত করে তা সঠিক হিসেবে ব্যবহার করে অস্থিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভুয়া ঋণ পেতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন। সংশ্লিষ্ট ঋণের গ্রহীতা ওয়াকামা ইন্টারন্যাশনালে লিমিটেডের পরিচালকরা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ মাধ্যমে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার ভুয়া ঋণের কাগজপত্র প্রস্তুত করেন। তা সঠিক হিসেবে ব্যবহার করে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের কর্মকর্তা এবং বোর্ড সংশ্লিষ্ট সদস্যদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পরে বিভিন্ন শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ওই অর্থ বিভিন্ন লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর রুপান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করে। শুভ্র রানী প্রতিষ্ঠানের নামে ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ পাচারে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেন