নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
দু’জনেই চাকরি করেন?
বিয়ে করবেন ভাবছেন? করবেন না। আর নয়ত
একজন চাকরি ছাড়ুন, তারপর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিন। হ্যাঁ, এমনই
‘আজব’ নিদান দিয়ে বিতর্কের ঝড়
তুললেন এক সংসদ সদস্য।
শুধু বক্তব্য পেশই নয়, রীতিমতো
সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি এই সংক্রান্ত
আইন পাশ করানোর দাবিও
তুললেন। যদিও তাঁর অজস্র
যুক্তিজালকে হেলায় উড়িয়ে দাবি নস্যাৎ করে
দেওয়া হয়। কিন্তু বিতর্কে
(Controversy) জল ঢালা গেল না।
এমন
আজব দাবি তোলা বক্তার
নাম রেজাউল করিম (Lawmaker Rezaul Karim)। সংসদে দাঁড়িয়ে
তিনি বলেন, ”পুরুষ মানুষ আজকার চাকরিরতা মেয়েদের বিয়ে করতে চায়।
আর মেয়েরা তো বিয়ের জন্য
উপার্জনক্ষম পুরুষকেই বেছে নেয়। এটাই
যদি চলতে থাকে, তাহলে
দেশের বেকারত্ব কোনওদিন ঘুচবে না। আর তাছাড়া
মা, বাবা দু’জনই
চাকরি করতে গেলে অনেক
সময় বাচ্চারা নানারকম অত্যাচারের শিকার হয়। বাড়ির পরিচারিক
বা পরিচারিকাররাই এর জন্য দায়ী
থাকে।” এরপরই তিনি স্পিকারের কাছে
এই বিষয়টি নিয়ে নতুন আইন
প্রণয়নের প্রস্তাব দেন।
সংসদ
সদস্য রেজাউল করিমের কথা শুনে তখন সংসদে হাসির রোল। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
স্পষ্ট জানান, ”আপনার বাক স্বাধীনতা আছে। আপনি যে কোনও প্রস্তাব দিতেই পারেন। কিন্তু
আপনার প্রস্তাব আমি মেনে নিলে এই সংসদ কক্ষের বাইরে দু’পাও
যেতে পারব না। যা বলছেন, তা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।” রেজাউল করিমের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন,
”বাক স্বাধীনতা (Freedom of speech) আছে বলে এমন কিছু বলবেন না যা আপনার নিজের কেরিয়ারের
পক্ষেও যথেষ্ট ক্ষতিকারক।” এরপর যদিও থেমে নিজের প্রস্তাব নিয়ে
স্বভাবতই এগোতে পারেননি রেজাউল করিম। তবে সংসদের মধ্যে তাঁকে বেশ সমালোচনার শিকার করতে
হয়েছে।
শুধু
এটাই নয়, ২০১৮ সালে
সংসদ হওয়া রেজাউল করিম
এর আগেও বিতর্কে জড়িয়ে
পড়েছিলেন। ধর্ষণের জন্য নারীবাদীরাই (Feminists) দায়ী, গত
বছর এই মন্তব্য করে
মহিলাদের ব্যাপক চটিয়েছিলেন তিনি। সে বছরই হাতে
পিস্তল নিয়ে ফটোশুট করে
তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেও জড়িয়েছিলেন আইনি
বিপাকে। কিন্তু তারপরও যে সংসদ সদস্যের
শিক্ষা হয়নি, সাম্প্রতিকতম মন্তব্যই তার প্রমাণ।