ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

শিবচর বাজার সয়লাব মৌসুমি ফলে, দাম চড়া

মো: লিটন খান,শিবচর, মাদারীপুর | আপডেট: রবিবার, মে ২৯, ২০২২

শিবচর বাজার সয়লাব মৌসুমি ফলে, দাম চড়া
শুরু হয়েছে জ্যৈষ্ঠ মাস। বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সারা বছর কোনো না কোনো ফলের সমারোহ থাকলেও জ্যৈষ্ঠ মাস আসে নানা প্রজাতির রসালো ফলের সুবাস নিয়ে। মিষ্টি ফলের লোভনীয় গন্ধ। ফলের রসে রসনা তৃপ্তির অপূর্ব আনন্দময় মাস এ জ্যৈষ্ঠ। বাজারে ফলের দোকানে, রাস্তার ধারে থরে থরে সাজানো আম, কাঁঠাল, লিচু, তরমুজ, কালোজাম, বাঙ্গিসহ নানা রকম রসালো ফল। বাঙালির ঘরে ঘরে পুরো জ্যৈষ্ঠ মাস জুড়ে চলে আনন্দ, চলে আত্মীয়-স্বজনদের আনাগোনা ও ফল-ফলাদি আদান-প্রদান।

মাদারীপুর শিবচর বাজারে গ্রীষ্মের মৌসুমি ফল উঠতে শুরু করেছে।  শিবচর পৌর বাজার, পাঁচ্চর, বাংলাবাজার, শেখপুর বজারসহ বিভিন্ন হাট বাজারের মধুমাসের রসালো ফল আম, লিচু, তরমুজ, বাঙ্গি, সফেদা, কাঁঠাল, জামরুল, আনারসসহ নানা ফল নিয়ে বসেছে ফল বিক্রেতারা। দোকানগুলোতে থরে থরে সাজানো দেশি ফল হাতছানি দিচ্ছে শিবচর উপজেলার মানুষকে।

প্রকৃতির তাপে-গরমে হাঁস-ফাঁস অবস্থার মাঝেও রসনা তৃপ্ত করতে সন্ধ্যা বা রাতে বাড়ি ফেরার পথে উচ্চবিত্ত পরিবারের গৃহকর্তা ঠিকই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন এসব বাহারি মৌসুমী ফল। তবে নিম্ন আয়ের মানুষেরা চড়া দাম হওয়ায় এসব ফল খুব স্বল্প পরিমাণেই কিনতে পারছেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলায় জ্যৈষ্ঠের শুরুতে দেশীয় ফলের আগমনে ফলের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে বাজারগুলোতে। আম, লিচু, কাঁঠাল, বাঙ্গি, আনারস, জামরুল, সফেদাসহ মৌসুমী ফলের সমারোহ দেখা দিয়েছে বাজারে। আশপাশের অঞ্চল থেকে মধুমাসের বিভিন্ন রসাল ফল উঠতে শুরু করেছে হাট-বাজারে। বাজারে কাঁঠালের আকার অনুপাতে ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি জাম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে, প্রতি কেজি লটকন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে। আনারসে জোড়া ১০০-১২০ টাকা, ১০০টি লিচু ২৫০ থেকে ৩০০ ও কেজি প্রতি জামরুল ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি পিস তাল ছোট (তিন কোষ) ১২ থেকে ১৫ টাকা, বড় তাল (তিন কোষ) ২০ টাকা, দুই কোষ তালের দাম ৮ থেকে ১০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। তবে জ্যৈষ্ঠের দ্বিতীয় সপ্তাহ পরে এসব ফলের দাম কমে আসবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

শিবচর পৌর বাজারে মৌসুমে ফল কিনতে আসা সুলতান বেপারী বলেন, বাজারে নতুন ফল এসেছে; এ জন্য দাম একটু বেশি।

আরেক ক্রেতা শাকিল মিয়া বলেন, ফলের বাজারে এসে দাম শুনে ভয় পেলাম। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটা ফলের দাম বেড়েছে।

উপজেলার ফল ব্যবসায়ী জুনায়েদ বলেন, মৌসুম ফলে ক্রেতার চাহিদা বেশি। তবে এগুলোর দাম বেশি থাকায় অনেকে আগ্রহ হারাচ্ছেন। তবে কয়েক দিনের মধ্যে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের এ কর্তা জানান, 'ছেলে মেয়ে অপেক্ষা করছে মধুমাসের রসালো ফল পাকা আম ও লিচু'র জন্য। কিন্তু যে দাম...। '
এ কথা বলেই থেমে যান সজিব। শেষে ছেলে-মেয়েকে সন্তুষ্ট করতেই স্বল্প পরিমাণে আম ও লিচু কিনেই বাড়ি ফিরেন এ কর্তা।  

বাজারে বাহারি ফলের সরবরাহ ভালো থাকলেও সজিবের মতো অনেকেরই এসব ফল কেনা বেশ কষ্টকর। বাবা মায়েরা তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য মধু মাসের ফলের স্বাদ দিতে চাইলেও ব্যবসায়ীদের হাঁকানো দামে অনেকেরই চোখ কপালে উঠছে।

ফল ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের মতে, মৌসুমী নানা ফল আস্তে আস্তে বাজারে উঠছে। স্বাদ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়েই সাধারণ মানুষ ফল কিনছেন।