ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ |

EN

বাংলাবাজার ঘাটে পারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক গাড়ি, হাজারো মোটর সাইকেলের দীর্ঘ সারি।

মাদারীপুর প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, মে ৭, ২০২২

বাংলাবাজার ঘাটে পারের অপেক্ষায় ৫ শতাধিক গাড়ি, হাজারো মোটর সাইকেলের দীর্ঘ সারি।
ঈদ শেষে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। দেশের দক্ষিণ বঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে নদী পারের অপেক্ষায় ঢাকামুখী যাত্রী, ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী যানবাহনের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

শুক্রবার (৬ মে) রাত ৮টা দিকে বিআইডব্লিউটিসি জানায়, শুক্রবার সকাল থেকেই যাত্রী ও যাবাহনের চাপ রয়েছে। বাংলাবাজর-শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের জন্য প্রায় পাচঁ শতাধিক পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি ও হাজারো মোটর  সাইকেল পদ্মা পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে  সচল রয়েছে ৫ টি। স্বল্প সংখ্যক ফেরী সচল রাখায় এতে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীবাহী গাড়িগুলোকে দীর্ঘক্ষণ ঘাটে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

বাংলাবাজার ঘাটে সকাল থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে একের পর এক ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে। তারপরও ৪ নং ঘাটের কাছে মোটরসাইকেলের লম্বা সারি রয়েছে।

বাংলাবাজার ঘাটে কথা হয় প্রাইভেটকারচালক মো. আব্বাস আলীর সঙ্গে। তিন বলেন, ঘাটের দুর্ভোগ শেষ হবে না। পদ্মা পার হতে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। তবে ভিআইপি নামে অনেক গাড়িই পরে এসে আগে পার হচ্ছে। আর আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে।  আমি এখানে ৬ ঘন্টা ধরে বসে আছি।

গোপালগঞ্জ থেকে আসা মিতু বলেন, আমি বেলা ১২ টায় সিরিয়াল দিয়ে বসে আছি ১০ ঘন্টা অতিক্রম করে এখনও ফেরী পাইনি। ফেরি স্বল্পতা ও ভিআইপিদের যাঁতাকলে বসে আছি। এই রটে অতিদ্রুত ফেরীর সংখ্যা বাড়ানো দরকার।

আরেকযাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, পদ্মাসেতু চালু হলে ঘাটের দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। সুবিধামতো সময়ে রওনা দিয়ে নির্বিঘ্নে ঢাকা যেতে পারতাম। এখন যানবাহনে বাড়তি ভাড়া, যাত্রীদের ভিড় মাথায় নিয়ে ছুটতে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাট ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানান, সকাল থেকে ব্যক্তিগত ও মোটরসাইকেলের বেশ চাপ রয়েছে । বাংলাবাজর-শিমুলিয়া নৌরুটে মোট ৫ টি ফেরি চলাচল করছে। বাংলাবাজার ঘাটে প্রায় পাচঁ শতাধিক পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি পদ্মা পাড়ি দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে আমরা অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী যানবাহন গাড়ি জরুরি ভিত্তিতে পার করেছি। তবে ফেরি কম থাকায় কিছুটা দুর্ভোগ থেকে যাচ্ছে।

‘ভিআইপি’ সুবিধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিরিয়াল মেনে ঘাটে আসা গাড়িগুলো পার করা হয়। কোনো গাড়ি আগে পার করার সুযোগ নেই।