ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

জাহাঙ্গীরকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিল সেতু

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২, ২০২১

জাহাঙ্গীরকে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিল সেতু

বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের প্রতি আমাদের অগাধ শ্রদ্ধা। কিন্তু তাঁর নাম ভাঙিয়ে একটি ফেরি পদ্মার বুকে একের পর এক তাণ্ডবলীলা চালিয়ে যাচ্ছে; যা সত্যিই দুঃখজনক। পিলারে হামলা করতে করতে তার সাদা থাবা আজ স্প্যান পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।

 

কেন ভাই? এত বড় দেহ নিয়েও নীরবে দাঁড়িয়ে থাকা ভদ্র সেতুর ওপর কেন বারবার তোমাকে উষ্ঠা খেতে হবে? তোমার কেন এত মোরগ লড়াই খেলার শখ? আর মাঠ খুঁজে পাও না?

 

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর তো দিতে পারবে না। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে মাথার ওপর একটা শিং তো ঠিকই দাঁড় করিয়ে রাখতে পেরেছে। সেতুর ওপর মাস্তুল ভাঙার দায় দিতে ইচ্ছে করেই একটা রড দাঁড় করিয়ে রেখেছে। এমন কাজটা জাহাঙ্গীর না করলেও পারত।

 

মারামারির ইচ্ছা না থাকলে জাহাঙ্গীর নিশ্চয়ই ভাটার সময় আসত। এসে যখন পড়েছেই মাথাটা একটু নিচু করে চলে যেতে পারত। মাথা নিচু করতে তার ইজ্জতে খুব লাগলে কয়েক ড্রাম পানি বা দু-একটা গাড়ি বেশি তুলে দেহটাকে আরেকটু ডুবিয়ে নিলেও হতো। কিছু না পারলেও কয়েকজন ট্রাক ড্রাইভারকে ওপরে পাঠিয়ে স্প্যানটি ওপরে তুলে ধরে নিচ থেকে পার হয়ে যেতে পারত। যায়নি। কারণ, সেতুকে বারবার ধাক্কা দেওয়াই ছিল তার এইম ইন লাইফ।

 

জাহাঙ্গীর গায়ে পায়ে সাদা। কিন্তু এই ফেরির মনে যে এত কালো, তা কে জানে!

 

এত কিছুর পরও সেতু কিন্তু জাহাঙ্গীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েনি। প্রকৃতির বিচারেই সে দাঁত ভাঙা জবাব পেয়েছে। সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের পঞ্চম দফায় জাহাঙ্গীরের দাঁত ভেঙেছে। ভদ্র সেতুর কিন্তু কিছুই হয়নি। বর্ষাকালে এসে আবারও ধাক্কাধাক্কির চিন্তা করলে জাহাঙ্গীরের ছাদসহ উড়ে যাবে সেই পূর্বাভাস তো দেওয়াই যায়। কারণ, ধৈর্যেরও তো একটা সীমা আছে। আর কত?

সৌজন্যে: আজকেরপত্রিকা/ইমরান খান