ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

বারোমাসি ‘কারিশমা’ তরমুজ চাষে সাফল্য

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ২, ২০২১

বারোমাসি ‘কারিশমা’ তরমুজ চাষে সাফল্য
নওগাঁ জেলার বদলগাছীতে ১২ মাস চাষযোগ্য কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন এক কৃষক।

দেশের শস্যভাণ্ডার খ্যাত নওগাঁ জেলার বদলগাছীতে ১২ মাস চাষযোগ্য কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন এক কৃষক।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তরমুজের ক্ষেত্রে এ উপজেলা পুরোপুরি বাইরের জেলা থেকে আমদানি নির্ভর। সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ আর মালিক সিডস নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জাপানের সাকাতা থেকে কারিশমা জাতের তরমুজের বীজ নিয়ে আসে। এরপর প্রদর্শনী প্রকল্প হিসেবে কোলা ইউনিয়ন পরিষদের ভোলার পালশা গ্রামের কৃষক আরমান হোসেন হাইব্রিড জাতের এই জাতের তরমুজ চাষ করেন। প্রথমে চাষেই তিনি সফলতা পেয়েছেন। 

কৃষি অফিস সূত্রে যায়, ঘন ও মাচাং পদ্ধতিতে এক বিঘা জমিতে ১ হাজার থেকে ১২০০টি কারিশমা জাতের বারোমাসি তরমুজের চারা রোপণ করা যায়। রোপণের ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যেই এই জাতের তরমুজ বিক্রয়ের উপযোগী হয়। এক থেকে দেড় ফিট দূরত্বে রোপণকৃত প্রতি গাছে ফল হয় তিন থেকে চারটি। প্রতিটির ওজন আড়াই থেকে তিন কেজি।

কৃষক আরমান হোসেন বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি তরমুজের চাষাবাদ করছি। জুন মাসের শুরুতে ২৫ শতক জমিতে ৪০০টি কারিশমা জাতের তরমুজের চারা রোপণ করেছি। গাছগুলো বেশ ভালোভাবেই বেড়ে উঠেছে। চারা রোপণের দুই মাস পর আমি ফল বিক্রি শুরু করেছি। 

তিনি জানান, ২৫ শতক জমিতে তার মোট খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তিনি তরমুজ বিক্রি শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ৪০ টাকা কেজি দরে ৩০০ কেজি তরমুজ বিক্রি করেছেন। 

কৃষক আরমান হোসেন বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আমার যে পরিমাণ গাছ আছে তা থেকে আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার কেজি ফলন পাওয়া যাবে। যার আনুমানিক দাম হবে এক লাখ টাকারও বেশি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, তরমুজ অনেক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও আঁশ আছে। এগুলো শরীরের জন্য খুবই উপকারী। কারিশমা জাতের হাইব্রিড এ জাতের তরমুজ চাষে অল্প সময়ে ও অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রদর্শনী প্রকল্প হিসেবে চাষাবাদ করে আমরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছি। এ জাতের তরমুজ বারোমাস চাষ করা যায়। কারিশমা জাতের তরমুজের বাজারমূল্যও বেশি। উপজেলার কৃষকদের কারিশমা জাতের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বেশি পরিমাণে চাষাবাদ হলে আমরা এর জন্য একটা বাজার তৈরি করতে পারব। এতে করে কৃষকরা খুব সহজেই ভালো দামে বিক্রি করতে পারবে।