ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, মে ১৯, ২০২৪ |

EN

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ বছর ধরে পদ্মা ও ধুমকেতু সংযোগ ট্রেন বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, জানুয়ারী ২২, ২০২২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ বছর ধরে পদ্মা ও ধুমকেতু সংযোগ ট্রেন বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ২ বছর ধরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আন্তঃনগর ট্রেন পদ্মা ও ধুমকেতু’র সংযোগসহ অন্যান্য ট্রেনগুলো বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা। তবে রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ইঞ্জিন আর কোচের সংকট থাকায় এই ট্রেনগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। পুনরায় ২০২০ সালের ১ আগস্ট রাজশাহী থেকে পদ্মা ও ধুমকেতু চালু হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাথে সংযোগ হিসেবে কমিউটার ট্রেন চালু না হওয়ায় যাত্রীদের এখনো দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ জেলার যাত্রীদের সুবিধার জন্য পদ্মা ও ধুমকেতুর সংযোগ হিসেবে দুপুর ২টা ৪০ মিনিট ও রাত ৯টা ৪০ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী কমিউটার ট্রেন চালু করা হয়েছিল।

বর্তমানে জেলার সাথে চলাচলকারী শুধুমাত্র বনলতা ছাড়া আর কোনো ট্রেন চালু নেই। এমনকি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-খুলনা-যশোর-পাবনা ট্রেন সার্ভিস অকার্যকর থাকায় এই অঞ্চলের অধিবাসীদের রেলে যাতায়াতে বাধাগ্রস্ত ও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-রহনপুর অংশের পুনর্বাসন প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি। তখন শোনা গিয়েছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জ-পাবনা পর্যন্ত পাবনা নামে এক্সপ্রেস চালু করা হবে। কিন্তু সেটিও আলোর মুখ দেখেনি।

এ বিষয়ে জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম জানান, রেল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ট্রেনগুলো চালু হচ্ছে না। এতে করে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ জানান, সদরে সরকার দলীয় এমপি না থাকায় বিএনপি’র এমপি তেমন ভূমিকা রাখতে পারছেন না। এরপরও রেলমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্ত করোনার কারণে সশরীরে যোগাযোগ করতে পারা যাচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক সময় হলে রেলমন্ত্রীর সাথে কথা বলে ট্রেনগুলো চালুর ব্যবস্থা করা হবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, ইঞ্জিন ও কোচ সংকট থাকায় এ ট্রেনগুলো চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে চাহিদানুযায়ী ইঞ্জিন ও কোচ পাওয়া গেলে ট্রেনগুলো যথারীতি চালু করা হবে।