ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, মে ১৯, ২০২৪ |

EN

করবস্থানে মাদকসেবীদের গোপন আস্তানা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: রবিবার, জানুয়ারী ৯, ২০২২

করবস্থানে মাদকসেবীদের গোপন আস্তানা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কবরস্থান, যেখানে শায়িত আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গুণী শিক্ষক। সেখানেই বসে নিয়মিত মাদকের আড্ডা। এমনকি জুয়ার আসরও।

নির্জনতাকে পুঁজি করে স্থানীয় মাদকসেবীরা পবিত্র এই স্থানটিকে  মাদকের গোপন আস্তানায় পরিণত করেছেন তারা।

সরেজমিন দেখা যায়, কবরস্থানের উত্তর-পশ্চিম পার্শ্বের দেয়াল ঘেঁষে যথারীতি আস্তানা গেড়ে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবন করছেন তারা। বড় আকারে গর্ত করে মাদকদ্রব্যের উচ্ছিষ্ট রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে সেখানে। ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ ও ইয়াবা সেবনের নানা উপকরণে ভর্তি সেই গর্ত।
প্রতিদিন সন্ধ্যা গড়ালেই শুরু হয় তাদের এসব কর্মকাণ্ড এবং চলতে থাকে মধ্যরাত পর্যন্ত। শুধু মাদক নয় সেখানে প্রায় সময় অনৈতিক কার্যক্রমের ঘটনাও ঘটতে দেখেছেন স্থানীয় লোকজন।

কবরস্থানে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীরা জানান, জায়গাটি খুবই ভয়ংকর সেজন্য তারাও সেখানে যান না ছিনতাইয়ের ভয়ে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কবর জিয়ারতে আসলে তারা বিষয়টি অবহিত করেন। পরে প্রশাসন পুলিশের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান।

তারা আরো জানান, কবরস্থান মসজিদে প্রায়শই চুরির ঘটনাও ঘটছে। দু-একদিনের মধ্যে জুতা চুরি হয়েছে এবং মাঝে মাঝে সাইকেলও চুরি হয় বলে তারা মন্তব্য করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বহিরাগত লোকজন গ্রুপ আকারে প্রতিদিন রাত ৭-৮ টার দিকে এখানে এসে মাদকের আড্ডা বসায়। প্রায় সারারাত চলতে থাকে এমনসব  আড্ডা। লাখ লাখ টাকার জুয়া খেলাও চলে এই পবিত্রস্থানে। এমনকি মাঝে মাঝে নারী নিয়েও তাদেরকে আসতে দেখেন তিনি। এই নির্জন জায়গায় প্রতিনিয়তই ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ তার।

কবরস্থান নিকটবর্তী চন্দ্রিমা থানার পুলিশ পরিদর্শক এমরান হোসেন বলেন, আমাদের কাছে মাদকসেবন ও জুয়ার আসর সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত কোনো তথ্য আসেনি। সেজন্য আমরা এ বিষয় সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি বলে তিনি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলী বলেন, কবরস্থানের এমন অপকর্ম সম্পর্কে আমরা জানতাম না। তবে আজকে ঘটনাটি শুনেছি এবং অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মো.সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পরপর ছিনতায়ের ঘটনা ঘটায় আমরা সকল স্থান নিয়ে সচেতন আছি এবং সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে এলার্ট জারি করেছি এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে পর্যাপ্ত লাইট, সিসি ক্যামারা এবং পুলিশ মোতায়েনসহ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।