ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, মে ১৯, ২০২৪ |

EN

লক্ষ্মীপুরে ভোট কেন্দ্রে ছাত্রদলের হানা, কম উপস্থিতিতেও পড়েছে ভোট

জিহাদ হোসেন রাহাত, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, জানুয়ারী ৭, ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে ভোট কেন্দ্রে ছাত্রদলের হানা, কম উপস্থিতিতেও পড়েছে ভোট
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপজেলার সেন্ট্রাল কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের দুশো মিটারের মধ্যে বিএনপির ডাকা দুদিনের হরতালের সমর্থনে বিশাল মিছিল করেছে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক মেহেদী আইনান। নির্বাচনের দিন (৭ই জানুয়ারি) দুপুর বারোটা ১০ মিনিটে মিছিল বের করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন ভোট কেন্দ্রটিতে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ আনসার সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পিছু হটে ছাত্রদল নেতা আইনানের মিছিল। মিছিল শেষ হওয়ার আগ মুহুর্তে পর পর তিনটি তুফান চকলেট (দাবি ককটেল) বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে ভোট কেন্দ্রের দুশো মিটারের পাশের একটি বাগানে অবস্থান নেয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজির টহল দল ও রায়পুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার ফোর্সসহ উপস্থিত হলে পালিয়ে যায় ছাত্রদল কর্মীরা। ছাত্রদল সুত্র জানায়, একপক্ষীয় নির্বাচন বানচাল করতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তারা। হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।

এ বিষয়ে কেন্দ্রটির বাহিরে নৌকার পক্ষে দায়িত্বরত রায়পুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাউছার হোসেন বলেন, ছাত্রদলের কিছু দুষ্কৃতকারী হামলার উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসলে প্রশাসন তা প্রতিহত করেছে। আমরা সাধারণ ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দানের জন্য উৎসাহিত করেছি। ভোট মানুষের পবিত্র আমানত। প্রশাসন দুষ্কৃতকারীদের হটিয়ে তা রক্ষায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

হরতালের সমর্থনে মিছিলের পর রবিবার বিকেলে ছাত্রদল নেতা আইনান বলেন, প্রহসনের নির্বাচন বানচাল করতেই আমরা হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করেছি। ককটেল বিস্ফোরণ করিনি। শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করেছি।

সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর দুই ( রায়পুর ও সদর আংশিক) আসনের প্রায় ১৪৬ টি কেন্দ্রের মধ্যে ১শ কেন্দ্রেই তুলনামূলক কম ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আসনটির রায়পুর উপজেলার চরপক্ষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হায়দরগঞ্জ তাহেরিয়া আর এম কামিল এম এ মাদ্রাসা ও সেন্ট্রাল কেরোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় একশো ভোট কেন্দ্রে ছিলো না চোখে পড়ার মতো ভোটার উপস্থিতি। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে নৌকায় জোরপূর্বক ভোট নিয়েছে প্রার্থীর এজেন্টরা- এমন অভিযোগ উঠেছে। তবে সরজমিনে গিয়ে এসব অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি।

বিকেলের দিকে নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। ভোট নিয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। সেলিনাসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী অসন্তোষ প্রকাশ করলেও নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য নূরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, ভোট উৎসবমূখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। জনগণ নিজেদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে। জনতার রায়ে আমি খুশি। ফলাফলের অপেক্ষায় রইলাম।

ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর জাল ভোট দানের কারণে আটক হওয়াসহ ভোট দিতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।