ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, মে ২০, ২০২৪ |

EN

ইবিতে সনাতনী ব্যাংকিং পদ্ধতি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

মংক্যচিং মারমা, ইবি ক্যাম্পাস প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ৯, ২০২৩

ইবিতে সনাতনী ব্যাংকিং পদ্ধতি, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রয়েছে প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠার এতো বছরেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ফি সহ সবধরনের ফি জমা দিতে হয় সনাতনী পদ্ধতিতে। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাড়িয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। তবে সমস্যা সমাধানে খুব শীঘ্রই আধুনিক ব্যাংকিং সিস্টেমের সাথে শিক্ষার্থীরা সংযুক্ত হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল দপ্তর। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগের ফর্ম ফিল-আপ এর টাকা জমা দেওয়ার শেষ দিন হওয়ায় ফি জমা দিতে সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে শিক্ষার্থীরা। একসাথে কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থী ফি জমা দিতে আসায় সকাল থেকেই ভিড় সৃষ্টি হয়ে আছে। ফলে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়েও ফি জমা দিতে পারছেন না তারা। এতে একদিকে তাদের যেমন সময় নষ্ট হচ্ছে তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ক্লাসও মিস দিতে হচ্ছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। 

ব্যাংকে জমা দিতে আসা হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মামুন বলেন, ১ ঘন্টার বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। লাইন সামনের দিকে আগাচ্ছেও না। লাইনও পুরো বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে। শিক্ষার্থীদের চাপ বেশি থাকায় কর্তৃপক্ষও টাকা নিতে পারতেসে না। অনলাইন মাধ্যম যদি থাকতো আমাদের এতো ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে স্টেপ নেওয়া।

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়ে ইবি শাখা অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান সাবিনা সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে এই ভোগান্তি থেকে বের হতে পারে এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল এবং অগ্রণী ব্যাংকের আইসিটি ডিভিশন একসাথে কাজ করছে। আধুনিক প্রকিয়ায় টাকা জমা দিতে অ্যাপসে তৈরির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশাকরি খুব শীগ্রই ব্যাংকিং কার্যক্রম ডিজিটালে আসবে।

এদিকে পুরাতন পদ্ধতির ব্যাংকিং কার্যক্রম সমস্যার সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে আই সি টি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, অগ্রণী ব্যাংক কতৃক অ্যাপসটি গুগল প্লে-স্টোরে ভেরিফিকেশনের জন্য ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। ভেরিফাই সম্পন্ন হলে শিক্ষার্থীরা গুগল প্লে-স্টোর থেকে অ্যাপটি ইনস্টল করে অনলাইন ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবে। খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা নিরসন হবে বলে আশা করছি।