ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, জুলাই ৩, ২০২৪ |

EN

দেশের স্বার্থ দেখে গ্যাস ব্লক বরাদ্দের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুন ১, ২০২৩

দেশের স্বার্থ দেখে গ্যাস ব্লক বরাদ্দের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ ঠিক রেখে সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ব্লক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আজ বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে মডেল পিএসসি-২০২৩ উপস্থাপনের সময় তিনি এই নির্দেশ দেন। মডেলটি উপস্থাপন করেন জ্বালানি সচিব।

এ সময় জ্বালানি সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, সরকার আগামী আগস্টে সমুদ্র ব্লক বরাদ্দ দিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি নিয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ অফশোর মডেল উৎপাদন বণ্টন (পিএসসি) ২০২৩ অনুমোদন দরকার। এ সময় প্রধানমন্ত্রী যথাসময়ে বিদেশি তেল কোম্পানিকে ব্লক বরাদ্দের নির্দেশ দেন।

এ সময় জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি সচিব ও পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার উপস্থিত ছিলে।

ওই বৈঠকে উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তারা ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনের আগে আইওসিগুলোকে ব্লক বরাদ্দ দিতে এখন আর বাধা থাকল না। তবে দরপত্রে অংশগ্রহণকারী আইওসিগুলোকে বা সমাঝোতার মাধ্যমে ব্লক বরাদ্দ দেওয়া হবে কি-না, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত দেবেন।

প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশ অংশকে ২৬টি ব্লকে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে অগভীর সমুদ্রে রয়েছে ১১টি ও গভীর সমুদ্রে ১৫টি ব্লক। মাত্র দুটি ব্লকে ভারতীয় কোম্পানি ওএনজিসি কাজ করছে। বাকি ২৪টি ব্লক বরাদ্দ দিতে আগ্রহী সরকার।

মাকির্ন তেল কোম্পানি এক্সন মোবিল, শেভরন ছাড়াও আরও ৮-১০টি কোম্পানি বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রের ১৫টি ব্লক নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মধ্যে এক্সন মোবিল একাই ১৫টি ব্লক নিতে আগ্রহী।

সম্প্রতি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেছেন, সমুদ্রে ব্লক বরাদ্দ দিতে জুনে এক্সন মোবিলের সাথে আলাপ আলোচনা শুরু হবে। গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে গেলে এক্সন মোবিল, শেভরনসহ বিভিন্ন কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা পেতে নীতিনির্ধারকদের সাথে বৈঠক করেন।

পেট্রোবাংলার এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘এখন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর কাজ শুরু করা আরও সহজ হয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত পেট্রোবাংলার সাথে সমাঝোতা বা আলাপ করার কোনো কাজ শুরু করেনি।’

বাংলাদেশে গ্যাস রপ্তানির ইস্যুটি বেশ আলোচিত। সংশোধিত মডেল পিএসসির ১৫ দশমিক ৬ অনুচ্ছেদে বলা আছে কোনো আইওসি চাইলে সমুদ্রে পাওয়া গ্যাস রপ্তানি করতে পারবে। তবে তাঁকে একটি প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। যেমন, প্রাপ্ত গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব প্রথমে সরকারকে দেবে। সরকার না নিলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তৃতীয় কোনো পার্টিকে বিক্রির প্রস্তাব দিতে হবে। সেই পার্টি না নিলে বিদেশে যেকোনো ফর্মে (এলএনজি বা পাইপলাইন দিয়ে) রপ্তানি করতে হবে।

জানা গেছে, বুধবারের বৈঠকে গ্যাস রপ্তানি বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি। দেশে এখন দৈনিক ৪৫০ কোটি ঘনফুটের বেশি চাহিদা আছে। আর সরবরাহ আছে ১৯০ কোটি ঘনফুটের মতো।