ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, জুলাই ৬, ২০২৪ |

EN

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফিচার ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২২

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ছবি: সংগৃহীত

গানে গানে শোষণ-বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরেছেন, অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় লড়াই করেছেন ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে। এজন্য মৌলবাদীদের দ্বারা নানা লাঞ্চনারও শিকার হয়েছিলেন তিনি। স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা নানা আন্দোলন সংগ্রামে গণ-মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে পথে পথে গান গেয়ে গণজাগরণ সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন। পেয়েছেন একুশে পদকও। সেই গুণী গণসংগ্রামী অসংখ্য বাউল গানের রচয়িতা শাহ আব্দুল করিমের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১২ সেপ্টেম্বর)। 

১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের ভাটি অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। দারিদ্র্যের সঙ্গে আজন্ম যুদ্ধ ছিল তার। কৃষি কাজের পাশাপাশি রচনা করেন কালজয়ী সব লোকগান। সমাজের নানা কুসংস্কার, সাম্প্রদায়িকতা, অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সুরে সুরেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন আজীবন।

কিংবদন্তিতুল্য এই বাউলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে উজানধলের বাড়িতে দোয়া, মিলাদ মাহ্ফিল, আলোচনা সভা এবং রাত নয়টা থেকে বাউল গানের আসরের আয়োজন করা হয়েছে।

বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিম সশরীরে আমাদের মধ্যে না থাকলেও তার লেখা মানবতার, অসাম্প্রদায়িকতার কথা লাখো বাউলের কণ্ঠে ছড়িয়েছে পৃথিবীব্যাপী।

‘বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইছে’, ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘আমি কূলহারা কলঙ্কিনী’, ‘কেমনে ভুলিবো আমি বাঁচি না তারে ছাড়া’, ‘আমি তোমার কলের গাড়ি’, ‘সখী কুঞ্জ সাজাও গো’, ‘জিজ্ঞাস করি তোমার কাছে মানুষ হয়ে তালাশ করলে’, ‘আমি বাংলা মায়ের ছেলে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা শাহ আব্দুল করিম। প্রয়াত এই বাউলের সুরধারার ভক্ত সারা পৃথিবীর বাংলা ভাষাভাষী মানুষ। মৃত্যুর পর যেন তিনি আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন।

তবে, শাহ আব্দুল করিমের মৃত্যু কিংবা জন্মবার্ষিকীতে সুনামগঞ্জে সরকারিভাবে কোনো আয়োজন করা হয় না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংস্কৃতিক কর্মীরা। তাদের দাবি, প্রতিবছর যেন জেলা পর্যায়ে শাহ আব্দুল করিমের মৃত্যু ও জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়।

কিংবদন্তীতুল্য এই শিল্পী ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৯৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।