উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগের পর ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে লিখিত মুচলেকায় হামলা ও হুমকির শিকার ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়ার সংবাদকর্মী আপেল মাহমুদের সাথে মীমাংসা করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। রবিবার (২৮ আগষ্ট) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিক নেতাদের উপস্থিতিতে আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোমান বাদশার বাসভবনে গিয়ে বিষয়টির সমাধান করেন।
সাংবাদিক আপেল মাহমুদ ও আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ১৯ জুলাই দুপুরে হামলা ও হুমকির ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন সাংবাদিক আপেল মাহমুদ। এ নিয়ে প্রথম আলো, কালের কন্ঠসহ বেশ কিছু গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আপেল মাহমুদ দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি।
আপেল মাহমুদ জানান, শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছবি তুলতে গেলে মোবাইল ফোন কেরে নেয় আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য হুমায়ূন কবির বিপ্লব।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য বিপ্লব জানান, সাংবাদিকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় তিনি অনুতপ্ত। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি বিষয়টির জন্য হাত ধরে ক্ষমা চেয়েছি প্রয়োজন হলে পা ধরে ক্ষমা চাইতে পারবো। ভবিষ্যতে আর কোনদিন এইরকম কাজ করবোনা বলে লিখিত অঙ্গীকারও দিয়েছি।
আপেল মাহমুদ জানান, ইউপি সদস্য নিজের ভুল বুঝতে পেরে, ঠাকুরগাঁও অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি বিধান দাস, সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল ইসলাম রঞ্জুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মুচলেকা দিয়ে সমাধান করেছেন। এ নিয়ে আর কোনও তিক্ততা নেই বলে জানান আপেল।
আখানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোমান বাদশা জানান, সাংবাদিক ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যাটির সুরাহা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যেন এমন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ওই ইউপি সদস্যকে সতর্ক করা হয়েছে।