ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, জুলাই ৬, ২০২৪ |

EN

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার: অ্যাটর্নি জেনারেল

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২৫, ২০২২

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার: অ্যাটর্নি জেনারেল

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি লাগবেনা এমন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দেয়া রায়ের পরে এমনটা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

তিনি বলেন, অনেকেই সরকারি কর্মচারীদের হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে থাকেন। তখন ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। এই ভোগান্তি এড়াতেই সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি একটা বিধান রাখা হয়েছিল। তবে আদালত আজকে যে রায় দিয়েছেন সে রায়ের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আপিল করব।

এর আগে সকালে সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারের আগে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি লাগবেনা বলে রায় দেন হাইকোর্ট। সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত আইনের ৪১ (১) ধারাটি সংবিধান পরিপন্থি বলে তা বাতিল করেন হাইকোর্ট।

সেই সাথে এই বিধানটিকে সংবিধানের মৌলিক অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক বলেন আদালত।

এর আগে গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে সরকারের পূর্ব অনুমতি নেওয়ার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। 

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সঞ্জয় মন্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

এর আগে ২০১৯ সালে এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪১(১) ধারা কেন বেআইনি ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ২৬(১) (২),২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।

২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের গেজেট জারি হয়। এরপর ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে বলা হয় ১ অক্টোবর থেকে এ আইন কার্যকর হবে।

আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, “কোনো সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হইবার পূর্বে,  তাহাকে গ্রেপ্তার করিতে হইলে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করিতে হইবে।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন ৪১(১) ধারায় বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করা হয়।

তিনি বলেন, একই ধরনের সুযোগ দিয়ে ২০১৩ সালে দুদক আইনের ৩২(ক) ধারা প্রণয়ন করে জনস্বার্থে রিট করলে আদালত আইনটিকে বৈষম্যমূলক বলে বাতিল ঘোষণা করেন। একই সুযোগ সরকারিকর্মকর্তা/কর্মচারিদের দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে প্রণীত ওই আইনের ৪১(১) ধারা আদালতের রায়ের পরিপন্থি।