ঝালকাঠিতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় একটি ইটভাটা অপসারনের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। পরিবেশগত নানা সমস্যা তুলে ধরে রোববার বেলা ১২ টায় একটি মানববন্ধন করেছে ভুক্তভূগিরা।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের পিপলিতা গ্রামে "মেরী ব্রিকস" নামক ইটভাটার সামনের সড়কে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে স্থানীয় ভুক্তভুগি নারী-পুরুষেরা অংশগ্রহন করেছেন।
মানববন্ধনে তারা দাবি করেন, ১০ বছর আগে নির্মিত "মেরী ব্রিকস" নামক ইটের ভাটা এলাকার পরিবেশগত দুষন ছড়াচ্ছে। পুরে যাচ্ছে গাছপালা, রোগাক্রান্ত হচ্ছে আশপাশের বাসিন্দারা। একই সাথে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে ভাটার এক কিলোমিটারের মধ্যে থাকা পিপলিতা সরকারী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদিয়া এবতেদায়ী হাফেজি মাদ্রাসা, রমানাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আযারিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন ছাড়াও ভুক্তভুগিরা বন ও পরিবেশ মন্ত্রলায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বরিশাল বিভাগীয় বন ও পরিবেশ পরিদপ্তরের উপ মহাপরিচালক ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকসহ ছয়টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে ঐ অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন, ইটভাটা সংলগ্ন বাসিন্দা এ্যাডভোকেট খান শহীদুল ইসলাম।
পিপলতা খান বাড়ির বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, ইটভাটার ধোয়ায় হাচি কাশি রোগ লেগেই থাকে, গর্ভবতীর পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়েছে অনেকের।
ক্ষতিগ্রস্থ দাবি করে আকবর হাওলাদার ও মো. জিয়া বলেন, ইটভাটার উত্তর দিকে ডাকুৃয়া বাড়ি, মালিবাড়ি এবং খান বাড়িতে প্রায় ৩০টি বসত ঘর রয়েছে প্রত্যেক বাড়ির কলাগাছ, সুপারীগাছ, নারিকেলগাছ ইটভাটার তাপে পুরে গেছে। তারা বলেন, এই ইটভাটা অপসারন এখন এলাকাবাসীর সময়ের দাবি।
এ বিষয়ে মেরী ব্রিকস এর স্বত্বাধিকারী মো. শহিদ জমাদ্দার বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে গাছে নারিকেল ও সুপারী গাছের পাতা পোড়া রোগ হয়েছে। আমার ভাটার পাশের বাসিন্দা খান শহিদের সাথে আমার অর্থনৈতিক লেনদেন রয়েছে। পাওনা টাকা চাওয়ায় সে তার বাড়ির লোকজন নিয়ে আমার মালিকানাধীন "মেরী ব্রিকস" নামক ইটভাটার অপপ্রচার চালাচ্ছে। তার ভাটা পরিবেশ বান্ধব (জিকজাক) বলেও দাবি করেন শহিদ জমাদ্দার।