ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, মে ১৯, ২০২৪ |

EN

ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল: আবর্জনার স্থানে ফুল বাগান

ঝালকাঠি, প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, মে ২৬, ২০২২

ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল: আবর্জনার স্থানে ফুল বাগান
নব চেহারায় ফিরেছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল। এখানে আগে দুর্গন্ধে থাকা যেতোনা। রোগী ও স্বজনদের নাকে সারাক্ষন রুমাল ধরে রাখতে হতো। করিডোরের গ্রিলের ফাঁকা দিয়ে রোগীর উচ্ছিষ্ট খাবার ফেলা হতো। যে স্থানটিতে রোগীর স্বজনরা ময়লা আবর্জনা ফেলে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করতো সে স্থানে বানানো হয়েছে ফুল বাগিচা।

হাসপাতালের দুটি বিল্ডিয়ের মাঝের অংশে একটি ফাকা জায়গা রয়েছে। যেখানে বছরখানেক আগেও  আবর্জনার স্তুপ থাকতো। যা পরিস্কার করে লাগানো হয়েছে নানা প্রজাতির ফল ও ফুলের গাছ। সন্ধ্যার পরে করিডোর দিয়ে হাটলে নাকে আসে হাসনাহেনার  সুবাস।

দ্বিতল এই হাসপাতাল ভবনের প্রতিটি ওয়ার্ড, করিডোর, বারান্দা, বাথরুম পরিষ্কার রাখার জন্য কাজ করছে হরিজন সম্প্রদায়ের ৭/৮ জন যুবক। সরকারী ভাবে অর্থ বরাদ্দ না থাকলেও হাসপাতাল তত্বাবধায়কের অনুরোধে সকল চিকিৎসকরা প্রতি মাসে নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে ক্লিনার রেখে হাসপাতালটিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রেখে নব চেহারায় রুপ দিয়েছেন।

হাসপাতাল অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত ঢাকনা লাগানো ডাষ্টবিন রাখা হয়েছে। রাতে হাসপাতালের ভেতরে প্রতিটি কানায় কানায় জ্বলে নিয়নের বাতির আলো। ভিতরে ঘুড়লে মনেই হবেনা এটি একটি সরকারি হাসপাতাল।

রোগীরা ববলছেন, ওয়ার্ডের প্রতিটা জায়গা পরিচ্ছন্ন, কোনো দুর্গন্ধ নেই। রোগীরা যাতে উচ্ছিষ্ট খাবার এদিক সেদিক না ফেলে সেদিকে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা বেশ নজর রাখে। কোনো সরকারি হাসপাতাল এমন সুন্দর হয় তা আমার জানা ছিলোনা। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে দ্রুত জেনারেটর চালু করা হয়। বিছানা, চাদর, বালিশ সবকিছুই পরিস্কার।

পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আব্দুর রব বলেন, হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়, আয়া, নার্স, ব্রাদার, চিকিৎসক, তত্বাবধায়ক সবাই সেবার ব্যাপারে আন্তরিক। তবে মাঝেমধ্যে পানি সংকট হয় বলে অভিযোগ অনেকের। অন্যদিকে রোগীর খাবারের মান আরো উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন প্রায় সব রোগীরাই।

পরিচ্ছন্নতার এই পরিবর্তনের বিষয়ে ফ্রিডমবাংলার সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে হাসপাতাল তত্বাবধায়ক ডা. মো. জহিরুল ইসলামের বলেন' 'পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে আমি সোচ্চার। ফুলবাগান করেছি, পরিচর্যা কর্মী রেখেছি এবং বাগানে লাইটিং করেছি। এতে রোগীর মানসীকতার বিকাস ঘটবে।হাসপাতালের ভেতর এবং বাহিরের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে আলোচনা করেছি।