রাজধানীর খিলগাও থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদী কলেজ ছাত্রীকে খুনের হুমকি দিয়েছে মামলার প্রধান আসামী ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচএম আখতারুজ্জামান বাচ্চু।
হুমকির অভিযোগ এনে ঐ শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নলছিটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছে। বুধবার বিকেলে সাধারণ ডায়েরীর বিষয়টি ফ্রিডমবাংলাকে নিশ্চিত করেছে থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান।
ডায়োরীতে লামিয়া লিখেছে, ১সপ্তাহের মধ্যে ধর্ষন মামলা তুলে না নিলে পরিবারসহ তাকে খুন করে গুম করার হুমকি দিয়েছে চেয়ারম্যান বাচ্চু।
উল্লেখ্য, নলছিটি উপজেলার সরই গ্রামের আইউব আলী হাওলাদারের মেয়ে কলেজ ছাত্রী লামিয়া আক্তার গত ১০ ফেব্রুয়ারী ঢাকার খিলগাও থানায় ধর্ষনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলার প্রধান আসামী ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চুকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছিলো।
হুমকির ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জিডিতে লামিয়া লিখেছে, ঈদুল ফিতরের পূর্বে জেল থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় ফিরে চেয়ারম্যান বাচ্চু মামলা প্রত্যাহার করাতে মড়িয়া হয়েওঠে। গত ৯ মে সকালে নলছিটির গোলাম মোস্তফা খান মহিলা কলেজে যাওয়ার পথে শহরের ফায়ার সার্ভিসের দক্ষিণ পার্শ্বের সড়কে তার পথরোধ করে চেয়ারম্যান ও তার দলবল। তখন চেয়ারম্যান বাচ্চু ও তার সহযোগী লোকমান মৃধা, আলমগীর মৃধা, মো. স্বপন, সজিব হাওলাদার, পলাশ হাওলাদার, মো. শামীম এবং মুরাদ লামিয়াকে মামলা তুলে নেয়ান হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। তারা লামিয়াকে খুনের ঘোষনা দিয়ে এক সপ্তাহ সময় বেধে দিয়ে চলে যায়।
লামিয়া পরিবারসহ প্রানে বাঁচতে পৈত্রিক ঘরবাড়ি ছেড়ে গোপনে অন্যত্র বসবাস করছে বলেও জিডিতে উল্লেখ করেছে।
জিডির বিষয়ে কুলকাঠি ইউপি চেয়ারম্যান এইচএম আখতারুজ্জামান বাচ্চু মুঠোফোনে বলেন, আমি ঈদের পর থেকে নিজ চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করতেছি। জিডি তদন্ত করাহোক তাহলেই সত্য/মিথ্যা বেড়িয়ে আসবে। চেয়ারম্যান আরো ববলেন, ইতিপূর্বে দায়েরকরা ধর্ষন মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সাজানো নাটক।