ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, মে ১৯, ২০২৪ |

EN

মাঠে নেমেছে এক-এগারো সরকারের উপদেষ্টারা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুলাই ২৮, ২০২২

মাঠে নেমেছে এক-এগারো সরকারের উপদেষ্টারা
বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে এখন অর্থনৈতিক সংকট। সারা বিশ্বে জ্বালানি তেলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশেও সঙ্কট ঘনীভূত হচ্ছে। সরকার লোডশেডিংয়ের পথে হাটছে গত এক সপ্তাহ ধরে। ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছে। আর এই অস্থিরতার ঠেকানোর জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। শুধু বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বে মুদ্রামানের পতনে হচ্ছে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং তার ঢেউ এসে লেগেছে বাংলাদেশেও। কিন্তু এই সংকটকালীন সময়ে মাঠে নেমেছেন সুশীলরা। বিশেষ করে এক-এগারোর সময় যারা উপদেষ্টা ছিলেন তারা অনেকেই এখন আড়মোড়া ভেঙে মাঠে নেমেছেন। মঞ্চে আবির্ভূত হচ্ছেন সরকারের কঠিন সমালোচনা করে। সাম্প্রতিক সময়ে সিপিডি তার কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেই আলোচনায় এক-এগারোর অন্তত চারজন উপদেষ্টা এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে আছেন এক-এগারোর অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, এক-এগারোর জ্বালানি উপদেষ্টা ম তামিম, এক-এগারোর সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান এবং ওই সরকারের আমলে জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

এরা সবাই এক-এগারোর অন্যতম কুশিলবও বটে। এরা সম্মিলিতভাবে সরকারের সমালোচনা করছেন এবং এই সমালোচনার উদ্দেশ্য কি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই গোলটেবিল বৈঠকে হোসেন জিল্লুর রহমান সরকারের অর্থনৈতিক নীতির তীব্র সমালোচনা করেন এবং ত্রিভুজ অর্থনীতির কারণে দেশ সংকটে পড়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। কিন্তু হোসেন জিল্লুর রহমান যখন বাণিজ্য উপদেষ্টা ছিলেন তখন বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়েছিল। এমনকি বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানির সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিল। ওই সময়ের উপদেষ্টা ম তামিম সরকারের জ্বালানী নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, গ্যাস উত্তোলনের রাজনৈতিক সাহস সরকারের নেই। অথচ তিনি যখন দুই বছর উপদেষ্টা ছিলেন তখন বিদ্যুৎ সংকটের কি ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল তা দেশবাসী জানে। আরেকজন অর্থ উপদেষ্টা সরকারের কঠিন সমালোচনা করে বলেছেন যে, সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মুদ্রাস্ফীতির ঘটনা ঘটেছিল তার আমলেই। ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য বলেছেন যে, বাংলাদেশ সামনের দিনগুলোতে বড় সঙ্কটের মুখে পড়তে যাচ্ছে।

বিশেষ করে মেগা প্রকল্পে ঋণ শোধের সময় ২৩-২৪ সাল উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ওই সময়ে বাংলাদেশ বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে পড়তে যাচ্ছে। লক্ষণীয় ব্যাপার হলো আশু সংকটের কথা কেউই বলেনি। তারা সকলেই ২৩-২৪ সালে বাংলাদেশে সংকটে পড়তে যাবে বলে মনে করছেন। আগামী বছরের শেষে অথবা ২৪ সালের জানুয়ারিতে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের আগ দিয়ে সরকারকে ঘায়েল করার কৌশলেই এক-এগারোর সুশীলরা মাঠে নেমেছে কিনা সেটি একটি বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে বিএনপি যখন অপ্রস্তুত, অসংঘবদ্ধ ঠিক সেসময় সংঘবদ্ধ সুশীলরা আরেকটি অর্থনৈতিক সংকটের কথা বলে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে এরকম কথা বলে আরেকটি বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার কোনো নীলনকশা আঁকছেন কিনা সেটি এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। 

সুত্র: বাংলাইনসাইডার