ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, মে ১৯, ২০২৪ |

EN

সুশীলরা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, জুলাই ২৩, ২০২২

সুশীলরা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে
দেশে নিয়ম করে লোডশেডিং চালু হয়েছে, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য সরকার নানা কৌশল নিচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে সুশীল সমাজ। যে সুশীল সমাজ এর আগে বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিল, রাজনৈতিক শক্তির বদলে সুশীল নিয়ন্ত্রিত একটি সরকার কায়েম করতে চেয়েছিল, সেই সুশীল সমাজ আবার মাঠে নেমেছে।

গত বৃহস্পতিবার সুশীল সমাজের অন্যতম প্রতিনিধি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অযাচিত একটা সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে নতুন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। যদিও তাঁর অতীতের সব ভবিষ্যৎবাণী ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এবার তিনি বলেছেন যে, মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধে সামনে বড় ধাক্কা আসছে। ২০২৪ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত অর্থনীতিতে বড় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের ধাক্কা সামাল দিতে হবে সরকারকে। ২০২৩ অথবা ২০২৪ সালে নির্বাচন। নির্বাচনের আগে সুশীল সমাজ এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে সরকারের সাফল্যকে ম্লান করতে চাইছে। শুধু তাই নয় সুশীল নিয়ন্ত্রিত দুটি পত্রিকা এখন ক্রমাগতভাবে সরকারের নেতিবাচক বিষয়গুলোকে তুলে ধরার মহান দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছে।

মতিউর রহমান সম্পাদিত প্রথম আলো পত্রিকা এখন যেন সরকারবিরোধী একটি লিফলেটে পরিণত হয়েছে। শুক্রবারে প্রথম আলোর প্রথম পাতা জুড়ে নানা রকম নেতিবাচক খবরের ভরপুর। সেই খবরের মধ্যে রয়েছে রপ্তানি ছাড়া কোনো সূচকেই ভালো নেই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্লেষণে প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৩০ বছরের মধ্যে প্রবাসী-আয় সর্বনিম্ন হয়েছে, ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে, ৫০ বছরের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি সবচেয়ে বেশি হয়েছে ইত্যাদি। একইসাথে ওই পত্রিকাটি প্রথম পাতায় আরেকটি খবর প্রকাশিত হয়েছে যাতে বলা হয়েছে যে, ক্রয়াদেশ কমছে, বাড়ছে খরচ, দুশ্চিন্তায় রপ্তানিকারকরা। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সরব প্রতিবাদ নিয়েও একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আবার বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোথাও ২ ঘণ্টা, দিনে কোথাও ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। অর্থাৎ প্রথম আলো এখন সরকারের ব্যর্থতার খতিয়ান দাঁড় করাতে করাতে ব্যস্ত। প্রথম আলোর সাথে সুর মিলিয়ে ডেইলি স্টারও একই রকম অবস্থা নেতিবাচক খবরের প্রসার বসিয়েছে।

সুশীলদের আরেক প্রতিনিধি বদিউল আলম মজুমদার নির্বাচন নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা বলছেন এবং আগামী নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কেও নানা রকম মন্তব্য করছেন। সুশীলরা এখন সরব হয়েছেন সরকারের বিরুদ্ধে। তারা জানে যে, বর্তমান সরকারের ৩য় মেয়াদের শেষ পর্যায়ে এখন সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে পারলেই সুশীল রাজত্ব কায়েমের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর এজন্যই এখন সুশীল সমাজ সংঘবদ্ধ এবং পরিকল্পিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আগেও দেখা গেছে ওয়ান-ইলেভেনের আগে আগে সুশীল সমাজ রাজনীতিবিরোধী এক অপপ্রচারে নেমেছে এবং সেই অপপ্রচারের প্রধান লক্ষ্য ছিলো রাজনৈতিক দলগুলোর চরিত্র হরণ করা। এখন সরকারের গত এক যুগের অর্জনগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার দায়িত্ব তুলে নিয়েছে সুশীল সমাজ। বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করা, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আর সেটিকেই যদি প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় তাহলে সব অর্জনকেই ম্লান করা সম্ভব হবে। আর সে লক্ষ্যেই সুশীল সমাজ এখন জনমনে আতঙ্ক ছড়ানোর কাজ করছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল মনে করছেন।