ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, জুন ২৫, ২০২৪ |

EN

আমার একমাত্র দুঃখ জেনারেল বাজওয়াকে বিশ্বাস করা: ইমরান খান

বিশ্ব বাংলা ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, মে ৩১, ২০২৪

আমার একমাত্র দুঃখ জেনারেল বাজওয়াকে বিশ্বাস করা: ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থেকে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) কামার জাভেদ বাজওয়াকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইমরান খান বলেন, জেনারেল বাজওয়াকে বিশ্বাস করাই ছিল আমার একমাত্র অনুসূচনার কারণ। সামরিক বাহিনীর প্রধান হিসেবে দ্বিতীয় দফায় নিজের মেয়াদ বাড়াতে মিথ্যা ও অলীক আখ্যান সাজিয়েছিলেন তিনি।

কারাগার থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক মেহেদী হাসানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরার খান এসব অভিযোগ করেন। সাক্ষাৎকারের জন্য কারাগারে লিখিত প্রশ্ন পাঠান তিনি। তবে সেখানে ইমরান খানকে পাল্টা প্রশ্ন করতে দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। তার এ সাক্ষাৎকার বুধবার (২৯ মে) জেটিওতে প্রকাশ করা হয়েছে।

কারাজীবনের জন্য কাকে দায়ী করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান বলেন, জেনারেল বাজওয়াই আমার এ বন্দিদশা সাজিয়েছেন এটা আমি নিশ্চিত। এজন্য আমি তাকে ছাড়া আর কাউকে দায়ী করি না।

তিনি বলেন, বাজওয়া সূক্ষ্মভাবে এ পরিকল্পনা সাজানো ও বাস্তবায়নের কাজ করেছেন। তিনি নিজেকে প্রতারক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশৃঙ্খলার জন্য তিনি ভুয়া ও মিথ্যা আখ্যান সাজিয়েছেন। নিজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এসব করেছেন তিনি। ইমরান খান ২০১৯ সালে অবসরের তিন মাস আগে জেনারেল বাজওয়ার মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন। এরপর ২০২২ সালে বোল নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাজওয়ার মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দিয়ে তিনি ভুল করেছিলেন।

 সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজওয়া গণতন্ত্র ও পাকিস্তানের ওপর তার কর্মকাণ্ডের ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়টি বুঝতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জড়িত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজওয়া একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর কাছে আমার সম্পর্কে মিথ্যা গল্প সাজিয়েছেন। আমাকে মার্কিনবিরোধী বা তাদের সঙ্গে সম্পর্কে আগ্রহী না বলে তুলে ধরেছেন।

ইমরান খান বলেন, ক্ষমতার লিপ্সা তাকে বেপরোয়া করে তুলেছে। ব্যক্তিগত লোভ তাকে চীনা দোকানের ষাঁড়ে পরিণত করেছে।