বাউ কুল চাষেই লক্ষ্মী আসবে ঘরে। তাইতো ঝালকাঠির সংগ্রামনীল গ্রামাঞ্চলে পাল্লা দিয়ে বাউ কুল চাষ এখন নয়া দিশা দেখাচ্ছে। গত কয়েক বছরে বাউ কুল চাষ করে স্বনির্ভরতার মুখ দেখেছেন ওই এলাকার চাষিরা। তাঁদের দেখে উৎসাহী হচ্ছেন আরও অনেকেই। তবে উচ্চ ফলনে দাম না পাওয়ায় লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে যাওয়া-র অভিযোগ কৃষকের।
উদ্যোগী নতুন যে সমস্ত কৃষকরা কুল চাষ করতে চান তাঁদের বিনা দ্বিধায় ময়দানে নামার আশ্বাস দিচ্ছেন কৃষিদপ্তর।
বাউ কুলে সাধারণভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করলেই ভাল ফলন তোলা যায়। তিনবিঘা জমিতে কুল চাষ করছেন সংগ্রামনীল এলাকার কৃষক বিজান মণ্ডল। তিনি বলেন, গত বছরই প্রথম এই কুলের চাষ করেন। প্রথম বছরেই প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ২০ কেজি করে কুল ঘরে তুলেছিলেন তিনি। বাউ, আপেল, নারকেল এবং বলসুন্দরী কুলের বাম্পার ফলনে আশাবাদী, এ বছর অন্তত প্রতি গাছ থেকে ৬০ কেজি করে কুল তুলতে পারবেন।
বিজান আরো বলেছেন, গোটা জেলায় এখন সাধারণ কুলের জায়গা স্থান করে নিয়েছে ওই বাউ কুল বা আপেল কুল। খরচ কম হওয়ায় কুলের লগ্নিটাও ছিল বেশভালো কিন্তু অসন্তুষ্ট দামে। তাই চাইছেন সংশ্লিষ্ঠ কর্তাব্যাক্তিদের সহয়তা।