ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ |

EN

নেশা করতে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করলো স্বামী

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, জানুয়ারী ৩০, ২০২২

নেশা করতে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করলো স্বামী
নরসিংদীতে নেশা করতে বাধা দেয়ায় এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে তার স্বামী।

শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে নরসিংদীর উপ-শহর হাজিপুরের চকপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত সুবর্না আক্তার (২১) হাজীপুর বেঙ্গল এলাকার শফিকুল ইসলামের মেয়ে। গ্রেফতার সোহেল মিয়া স্থানীয় বাজারে হলুদ মরিচের দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩ বছর আগে হাজীপুর বেঙ্গল শফিকুল ইসলামের মেয়ে সুবর্না আক্তারের সঙ্গে সোহেল মিয়ার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই যৌতুক ও নেশার টাকা যোগার করে দেয়ার জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। এ নিয়ে সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো। এরই জের ধরে সুবর্না কয়েক দফায় বাপের বাড়ি চলে যেতো।

সর্বশেষ গত শুক্রবার দুপুরে সুবর্নাকে তার বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসে স্বামী সোহেল মিয়া। কিন্তু দিন পের হতে না হতেই পুনরায় ঝগড়া শুরু হয়। রাত ২টার দিকে স্বামী সোহেল মিয়াকে নেশা করতে বাধা দেয় তার স্ত্রী। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।

পরে ঝগড়ার এক পর্যায়ে সোহেল মিয়া হাতুড়ি ও সেলাই র্যাঞ্জ দিয়ে তার স্ত্রী মাথায় ও মুখমণ্ডলে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এর এক পর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়ে তার পেটে আঘাত করে। রাত ৩টার দিকে বাড়িওলার স্ত্রী বের হয়ে সুবর্নাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ নিহতের স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করে।

নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, জামাই নেশাগ্রস্ত ছিলো সেটা আমরা জানতাম না। দুদিন পর পর সংসারে ঝগড়া লেগেই থাকতো। পরে মিলিয়ে দিতাম। বিয়ের পর থেকে এভাবেই চলছিল। আমি গরিব। পিঠা বিক্রি করে সংসার চালাই। এর মধ্যে যতটুকু সম্ভব টাকা দিয়ে জামাইয়ের চাহিদা মিটাতাম। কিন্তু সব সময় পেরে উঠতাম না। তাই বলে সে আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলবে। আমি তার বিচার চাই।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সোহেল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যের কারণ জানতে অনুসন্ধান চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হতো না।