শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় বিএনপির হারুন অর রশীদের দণ্ডের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ হওয়ায় পরেও সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকতে বাধা নেই বলে মনে করেন তার আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি সেলিমের বেঞ্চে দেওয়া ওই রায়ের পর তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, হারুন অর রশীদের সাজা মডিফাই করে তাকে সার্ভ আউট অর্থাৎ এ মামলায় তিনি প্রায় ১৬ মাস জেলে ছিলেন, সেই ১৬ মাস সাজা বহাল রাখা হয়েছে। সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আমরা বিক্ষুব্ধ। উনি নির্দোষ। উনি গাড়ি বিক্রি করেননি। কোনো অপরাধও করেনি। তাই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করবো।
সংসদ সদস্য পদে বহাল থাকার বিষয়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, যেহেতু ১৬ মাস সাজা বহাল রয়েছে তাই তার সংসদ সদস্য থাকতে, নির্বাচন করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। কারণ সংসদ সদস্য পদ যেতে হলে সংবিধান অনুসারে কমপক্ষে দুই বছর সাজা হতে হবে।
সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্তত দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে।
আদালতে হারুন অর রশীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, সৈয়দ মিজানুর রহমান ও এইচ এম সানজীদ সিদ্দিকী। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদকের মামলায় তাকে ৫ বছরের দণ্ড দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ মামলায় চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও একলাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার অপর আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরে আসামিদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থ দণ্ড স্থগিত করেন। পাশাপাশি তাদের জামিন দেন উচ্চ আদালত।