পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে এবার দলীয় প্রতীকে লড়তে পারেনি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা। তারা এবার স্বতন্ত্র হয়ে লড়ে ৯৭টি আসনে জয় ছিনিয়ে এনেছেন। এদের মধ্যে একজন গতকাল নওয়াজের দল পিএমএল-এনে যোগ দিয়েছেন।
পিটিআই সমর্থিত নয়, এমন কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও এবারের নির্বাচনে জয় পেয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন আজ পিএমএল-এনে যোগ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পিএমএল-এনের সভাপতি শাহবাজ শরিফ।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনী ফল ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে স্বতন্ত্ররা যেকোনো দলে যোগ দিয়ে সরকার বা বিরোধী দল গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পরে ফলাফল ঘোষণা হয়েছে রোববার। অর্থাৎ আর মোটামুটি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নির্ধারিত হয়ে যাবে, স্বতন্ত্ররা কে কিভাবে পার্লামেন্টে যোগ দেবেন।
পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে সরকার গঠনের মতো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা (১৩৪ আসন) পায়নি কোনো দল। ফলে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে আসন সংখ্যা বাড়াতে স্বতন্ত্র সদস্য-নির্বাচিতদের দলে ভেড়াতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নওয়াজের পিএমএল-এন, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপি’সহ প্রায় প্রতিটি দল। এ নিয়ে চলছে তীব্র দরকষাকষি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, রোববার পর্যন্ত মোট ছয়জন স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী পিএমএল-এনে যোগ দিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন পিটিআই সমর্থিত এনএ-১২১ আসনের ওয়াসিম কাদিরও।
কাদির পিএমএল-এনেরই সাবেক এমপি এবং লাহোরের সাবেক ডেপুটি মেয়র। তিনি ২০১৮ সালে পিটিআইয়ে যোগ দিয়েছিলেন। রোববার পিএমএল-এনের প্রধান সংগঠক মরিয়ম নওয়াজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দলে ফেরেন ওয়াসিম কাদির। পিএমএল-এনে যোগ দিয়ে তিনি বলেছেন, আমি ঘরে ফিরেছি।
একইভাবে এনএ-৪৮ থেকে রাজা খুররম নওয়াজ, এনএ-৫৪ থেকে ব্যারিস্টার আকিল, এনএ-১৪৬ থেকে পীর জহুর হুসেন কুরেশি, এনএ-১৮৯ থেকে সরদার শমসের মাজারি এবং এনএ-২৫৩ থেকে ব্যারিস্টার মিয়ান খান বুগতিও পিএমএল-এনে যোগ দিয়েছেন।
নওয়াজ শিবিরে যোগ দিয়েছেন পিপি-৯৭ (চিনিওট-৪) আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ সাকিব খান চাদ্দারও। এর ফলে পাঞ্জাব বিধানসভায় পিএমএল-এনের আসন আরও বেড়েছে। পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে সাকিব দলটিতে যোগ দেন।