ঝিনাইদহে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ নিচ্ছে না। প্রায় ২ বছর কোনো খবর না নেওয়ায় অসহায় জীবন যাপন করছে মা ও শিশুসন্তানটি। স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে চাইলে করা হচ্ছে নির্যাতন।
এনিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্য আশিক হোসেন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের পান্নু মোল্লার ছেলে। বর্তমানে আশিক যশোরের অভয়নগর থানার পাথালিয়া ক্যাম্পে কর্মরত আছে।
ভুক্তভোগী শামিয়া শারমিন অনি আরটিভি নিউজকে বলেন, ২০১৫ সালের ১৫ জুলাই প্রেমের সম্পর্কে আশিকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুখেই কাটছিল তাদের সংসার। তাদের সংসারে ৩ বছর বয়সী একটি ছেলেসন্তান রয়েছে।
অনি অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের কয়েকবছর পর থেকে সে মোবাইলে বিভিন্ন নারীদের সাথে কথা বলত। বিষয়টি আমি টের পেয়ে তাকে নিষেধ করলে বকাবকি ও মারধর করতো। এভাবেই চলছিল তাদের সংসার। এর মাঝে ২ লাখ টাকা যৌতুকও দাবি করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য। ২০১৯ সালে কুষ্টিয়ায় কর্মরত অবস্থায় যশোর কোতয়ালি থানার শংকরপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে ফারহানার ইয়াসমিনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ফারহানার ৮ বছরের একটি মেয়েসন্তান রয়েছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভেড়ামারা সার্কেল) মো. ইয়াছির আরাফাত আরটিভি নিউজকে বলেন, আশিকের স্ত্রী অনি পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগের বিষয়ের সত্যতা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মামলা এখনও তদন্তে রয়েছে। আশা করি দ্রুত রিপোর্ট পেশ করা হবে।