রাজশাহী মহানগরীর অনেক জায়গায় ইভিএম মেশিন নষ্ট। তাই ভোট গ্রহণে দেরি হচ্ছে। এটি একটি পাতানো নির্বাচন বলে অভিযোগ করেছেন রাশজাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনিত লাঙ্গল প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। তবে এখানে ভোটের পরিবেশ ভালো আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (২১ জুন) সকালে নগরীর আটকোষী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে তিনি একথা বলেন।
অপরদিকে সকাল ৯টায় রাজশাহী স্যাটেলাইট টাউন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি ৬০% এর মতো হতে পারে। কিছু কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে সমস্যা হচ্ছে, সেটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সমাধান করবে।
এই নির্বাচনে বিএনপির অংশ নেওয়া দরকার ছিলো বলেও মন্তব্য করেন খায়রুজ্জামান লিটন।
এর আগে সকাল ৮টায় রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই দুই সিটি করপোরেশনের সবগুলো কেন্দ্রেই ভোট হচ্ছে ইভিএম-এ। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। দুই সিটিতেই নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য।
রাজশাহী সিটিতে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯শ' ৮২ জন। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন প্রার্থী। এ সিটির ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অপরদিকে, সিলেটে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭শ' ৫৩ জন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আট মেয়র প্রার্থী। এছাড়া, কাউন্সিলর পদে ৩৫৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য তিন সিটির মতো সিলেট ও রাজশাহীতেও সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা ইসির।