ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪ |

EN

আমার ভোটের হিসাব পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ: জায়েদা খাতুন

গাজীপুর প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, মে ২৬, ২০২৩

আমার ভোটের হিসাব পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ: জায়েদা খাতুন
নির্বাচনে জয়লাভের পর ভোট সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জায়েদা খাতুন। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন শেষে রাতে গাজীপুরের ছয়দানা এলাকার নিজ বাসায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এই বিজয়ী।

ভোটে জয়লাভের পর নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন শেষে রাতে গাজীপুরের ছয়দানা এলাকার নিজ বাসায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

জায়েদা খাতুন বলেন, ‘গাজীপুরবাসীকে শুভেচ্ছা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও শুভেচ্ছা। আমি তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। ভোটটা আমার সুষ্ঠু হয়েছে। আমি আমার ভোটের হিসাব পেয়েছি। এই জন্য আমি আরও ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে।’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আজমত উল্লাকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জায়েদা খাতুন নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন শেষে রাতে বিজয়-পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা সাবেক মেয়র ও তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নবনির্বাচিত এই মেয়র বলেন, ‘গাজীপুরবাসীর ঋণ আমি শোধ করার চেষ্টা করব। সাংবাদিকেরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাই আপনাদের ঋণও আমি শোধ করব। আপনারা যখন আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, তখন আমার সঙ্গে বা আশপাশে কেউ ছিল না। আমি গাজীপুরের কাজ করেই ঋণ শোধ করব। কাজটা যেহেতু আমি একা করতে পারব না, তাই আমার ছেলেকে নিয়ে করব। যে আগে থেকেই আমার পাশে ছিল। আমার ছেলেকে নিয়ে যে যে কাজ বাকি আছে, সেগুলো করব এবং আমার ছেলের যে কাজগুলো বাকি ছিল সেগুলো শেষ করে দেব ইনশা আল্লাহ।’

ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে সত্য প্রমাণের জন্যই তাঁর নির্বাচনে আসা—এমনটা জানিয়ে জায়েদা খাতুন বলেন, ‘কিছু লোক আছে, যারা যা করেছে তাদের দিলেই (মনে) আছে। আমি গাজীপুরবাসীর জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। আমার কাজ সবাইকে দেখিয়ে দেব। আমি আজমতউল্লা খানকে জিজ্ঞেস করে ও মতামত নিয়েই কাজ করব। একজনের জায়গা দিয়ে রাস্তা যাবে, একজনের জায়গা দিয়ে ড্রেন যাবে, কিন্তু দিতে চাইবে না। তাই সবাইকে সঙ্গে নিয়েই কাজ করব। এলাকার মানুষকে নিয়েই কাজ করব।’

নতুন এই মেয়র বলেন, ‘আমার ছেলে ও আমার মিথ্যা কেউ পায় নাই। মিথ্যা অভিযোগ তোলার দুঃখেই, মিথ্যার প্রতিবাদে এইখানে আমার ভোটে আসা। গাজীপুরের মানুষকে এত ভালোবাসছি, এবার দেখি তারা আমারে কেমন ভালোবাসে। এই ভালোবাসা প্রমাণ করার জন্যই ভোটে আসা। আমি গাজীপুরবাসীর ভালোবাসা পেয়েছি।’

তাৎক্ষণিক এই সংবাদ সম্মেলনে জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমও কথা বলেন। তিনি এ সময় তাঁর মায়ের সহযোগী হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।