ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ |

EN

মদনে হাঁস বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

দেওয়ান রানা, মদন, নেত্রকোণা প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, মে ১০, ২০২৩

মদনে হাঁস বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
হাওর অঞ্চলের সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হাসঁ বিতরণের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।  

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হাঁস বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করেদেন।

মঙ্গলবার উপজেলা প্রাণি সম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতাল কার্যালয়ে সুবিধাভোগীদের মধ্যে হাঁস বিতরণ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। এ সময় কয়েক জনের মধ্যে হাঁস বিতরণ কার্যক্রম বন্ধ করেন তায়রান ইকবাল। এতে সব হাঁস ফেরত নিয়ে যায় ঠিকাদার।

মদন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মদন উপজেলায় ৩৭৯ জন হত দরিদ্র প্রতি সুবিধাভোগী কে ১৫ টি খাকি ক্যাম্বল হাঁস দেওয়ার কথা রয়েছে। প্রতিটি হাঁসের বয়স ১৬ সপ্তাহ ও ওজন ১৩০০  থেকে ১৬০০ গ্রাম ওজনের হতে হবে। প্রতি হাঁসের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫০০ টাকা। এতে মদন উপজেলা মোট বরাদ্দ ২৮ লাখ ৪২ হাজার ৫ শত টাকা।

 এই হাঁস বিতরণের জন্য জেন্টেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পান।  মঙ্গলবার ৯ মে মদন উপজেলায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে হাঁস বিতরণ শুরু করেন। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তায়রান ইকবাল বিতরণ কার্যক্রম দেখতে ছুটে যান। কর্মকর্তা ওজন মেপে ১৩০০ থেকে ১৬০০ গ্রামের মধ্যে ৮০০ গ্রাম পান। পরে তিনি  সুবিধাভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওজনে কম থাকায় হাঁস বিতরণ কার্যক্রম উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তায়রান ইকবাল বন্ধ করেদেন।

দেওসহিলা গ্রামের উপকারভোগী  ওমর ফারুখ বলেন, হাঁস পেয়ে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু ঠিকাদার আমাদের এভাবে ঠকাচ্ছে সেটা জানতে পেরে মর্মাহত হলাম। আমি চাই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।  

জেন্টেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এর প্রতিনিধি কামাল হোসেন বলেন, মদন উপজেলা ৩৭৯ পরিবারের মধ্যে হাঁস বিতরণ কার্যক্রম শুরু করি। অপরিণত বয়সে হাঁস বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি পরে সামনাসামনি কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।

মদন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ তায়রান ইকবাল জানান, হাওর সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পে আওতায় হতদরিদ্রদের মাঝে হাঁস বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। কয়েকটি পরিবারের মাঝে দেওয়ার পর আমার কাছে হাঁসগুলো অপরিণত মনে হওয়ায় ওজন দিয়ে ৮০০/৮৫০ গ্রাম পাই। পরে হাঁস বিতরণ বন্ধ করে দিয়েছি।

প্রকল্প পরিচালক ডা: মো: গোলাম কবির জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বলেদিয়েছি সুনিদৃষ্টভাবে সুস্থ ও ক্রায়টিয়া ফুলফিল হলে রিসিভ করবেন এবং বিতরণ করবেন না হলে করবেন না।