ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪ |

EN

টেকনাফে রোহিঙ্গা সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ছলেসহ গ্রেপ্তার ৬, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

আমান উল্লাহ কবির, টেকনাফ প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, মে ৬, ২০২৩

টেকনাফে রোহিঙ্গা সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ছলেসহ গ্রেপ্তার ৬, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফের দূর্গম পাহাড় কেন্দ্রিক বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও ডাকাতির অন্যতম হোতা ছালেহ বাহিনীর প্রধান হাফিজুর রহমান ওরফে ছলে উদ্দিন ও তার অন্যতম সহযোগী সোহেল ডাকাত সহ ৬ জনকে  গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।  শনিবার (৬ মে) সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে র‌্যাব জানান, গত ৫ মে রাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে টেকনাফের বাহারছড়া পাহাড় এলাকায় র‌্যাবের অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

ধৃতরা হচ্ছে টেকনাফের দূর্গম পাহাড় কেন্দ্রিক বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অন্যতম হোতা হাফিজুর রহমান ওরফে ছালেহ উদ্দিন ওরফে ছলে ডাকাত (৩০) ও তার সহযোগী নুরুল আলম ওরফে নুরু (৪০) আক্তার কামাল ওরফে সোহেল (৩৭), নুরুল আলম ওরফে লালু (২৪), হারুনুর রশিদ (২৩) ও  রিয়াজ উদ্দিন ওরফে বাপ্পি (১৭)।

এসময় ঘটনাস্থল হতে ১টি বিদেশী পিস্তল, ৩টি এসবিবিএল রাইফেল, ২টি ওয়ান শুটার গান, ৬টি দেশীয় তৈরি বন্দুক, ৫ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ১৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৪ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ২টি ধারালো ছুরি, ৬টি দেশীয় তৈরি দা  ও ৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। 

ধৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, টেকনাফের দূর্গম পাহাড়ে অবস্থান করে হাফিজুর রহমান ওরফে ছালেহ ডাকাতের সরাসরি নেতৃত্বে এই চক্রটি অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়, মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অপরাধ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। তার এই সন্ত্রাসী দলে সদস্য সংখ্যা ১২-১৫ জন। সালেহ এর নেতৃত্বে এই সন্ত্রাসী দলটি টেকনাফের শালবাগান পাহাড়, জুম্মা পাড়া ও নেচারি পার্ক এলাকা, বাহারছড়া ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকা হতে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতো।

টেকনাফ থানা পুলিশের তথ্যমতে গত ৬ মাসে টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ৪৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। যার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ১৩ জন। এসব ঘটনায় ২৩ জনকে অপহরণে তথ্য এলেও প্রকৃত তথ্য ভিন্ন।

এলাকাবাসীর দাবি, গত ৭ মাসে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় ৬০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ অপহৃত ৫ রোহিঙ্গা শিশু ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ৪ দিন পর গত শনিবার মুক্তি পেয়েছে। এ ছাড়া সর্বশেষ গত সোমবার ২ জনসহ মোট ২০ জন মুক্তিপণ ছাড়া ফিরলেও অন্যান্যরা মুক্তিপণে ফিরেছে।

টেকনাফ থানার ওসি আবদুল হালিম জানিয়েছেন।‘ছলে বাহিনীর’ প্রধান হাফিজুর রহমান প্রকাশ ওরফে ছলের বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ ৬টির বেশি মামলা রয়েছে।