ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪ |

EN

৫ বছরেই চাঁদে ঘরবাড়ি চীনের! চন্দ্র-মৃত্তিকায় তৈরি হচ্ছে ইট

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক | আপডেট: শুক্রবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৩

৫ বছরেই চাঁদে ঘরবাড়ি চীনের! চন্দ্র-মৃত্তিকায় তৈরি হচ্ছে ইট

ছবি: আজতাক.আইইন

চাঁদে আসন্ন সময়ে মানুষ সেখানে ইমারত তৈরি করার কথা ভাবছে কিন্তু চিন খুব দ্রুত এই প্রস্তুতি সেরে ফেলতে চাইছে। তারা চাঁদে আস্তানা গড়তে মোটামুটি অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। সেখানে তাঁরা কনস্ট্রাকশন করার পরিকল্পনা করেছে এবং এর জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেছে। চিনের প্ল্যান হল যে আগামী পাঁচ বছরে তারা চাঁদের মাটিতে ব্যবহার করে ইট তৈরি করবে।

চিনের স্থানীয় মিডিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী একশোর বেশি চিনা বৈজ্ঞানিক গবেষক এবং কন্টাকটাররা সম্প্রতি চিনের ইউহানে একটা কনফারেন্স করেছিলেন। যার মধ্যে তারা আসন্ন মিশনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। সঙ্গে চাঁদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করার পদ্ধতি ও তারা জানিয়েছেন।

ঝিয়াংঝিয়াং ডেলির বক্তব্য অনুযায়ী চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি বিশেষজ্ঞ ডিংলিং জানিয়েছেন যে একটি টিম, চাঁদের মাটি দিয়ে ইট তৈরি করার জন্য Chinese Super Masons নামে একটি রোবট তৈরি শুরু করেছে। 

তাঁরা মনে করছেন এত কম সময়ে এই লক্ষ্য পাওয়া একটু কঠিন। যেমন সেখানে জল না থাকায় গ্রাভিটি কম হওয়ার চাঁদে বারবার ভূমিকম্প হওয়া এবং ভয়ঙ্কর কসমিক রেডিয়েশন। তা সত্ত্বেও তাদের দাবি যে লম্বা সময় পর্যন্ত লুনার এক্সপ্লোরেশন করার জন্য চাঁদের উপর হ্যাবিটেন্ট অত্যন্ত জরুরি এবং নিশ্চিতভাবে ভবিষ্যতে এ বিষয়টি নিশ্চয়ই সম্ভব হবে।

ডিং জানিয়েছেন যে চাঁদের মাটিতে ইট তৈরি করা রোবটটি ২০২৮-র কাছাকাছি চিনের চেঞ্জ এইট মিশনের সময় লঞ্চ করা হবে। তাদের দাবি যে আমরা প্রথমে ইট চাঁদের আসল মাটি দিয়ে তৈরি করব। তারপর সেখানে ইমারত তৈরি হবে ওই ইট দিয়েই।

এছাড়া চিনের লক্ষ্য যে ২০২৫ এর কাছাকাছি একটি মিশনের অংশ হিসেবে যাদের সবচেয়ে দুর্গম অংশ থেকে প্রথম মাটির স্যাম্পেল নিয়ে আসা।  মিডিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী চিন এর আগে ২০২০ সালে নিজের চেঞ্জ ফাইভ মিশনের সময় চাঁদের সামনের অংশের মাটির নমুনা নিয়ে এসেছিল। এর পরের বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে চেঞ্জ সেভেন মিশন লঞ্চ করা হবে এবং দক্ষিণ ধ্রুবকে অ্যাটকেন বেসিনে এটি নামবে এবং ক্রেটার্স এর তলায় জলের বরফ খুঁজবে।

চিন চাইছে চাঁদে লুনার বেস তৈরি করে ফেলার পর সেখানে দীর্ঘসময় থেকে গবেষণা চালিয়ে যেতে। গত সপ্তাহে চিনের প্রচুর বিজ্ঞানী হুয়াঝাংয়ের প্রেস কনফারেন্সে হাজির ছিলেন।

সুত্র: আজতাক.আইইন