বগুড়ার শেরপুরে এক নারী ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন তাঁর ভাশুরের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। এর আগে ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালালে তিনি ব্লেড দিয়ে তাঁর ভাশুরের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের দহপাড়া গ্রামে। পরে ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগী নারী শেরপুর থানায় ধর্ষণচেষ্টার মামলা করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম করিম প্রামানিক (৫০)। তিনি খানপুরের দহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। করিম প্রামানিক ওই এলাকার মৃত আফসারের ছেলে। বর্তমানে তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার করিম ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ওই গৃহবধূর সম্পর্কে ভাসুর হন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ওই গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু করিম ওই গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক করার চেষ্টা করে আসছিলেন। এর এক পর্যায়ে রবিবার (৯ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ওই গৃহবধূ দহপাড়া গ্রামের দেবনতুর মাঠে ভূট্টা ক্ষেতে গেলে করিমও তার পেছনে যান। এরপর সেখানে তাকে ধর্ষণ চেষ্টা চালান। এ সময় ওই গৃহবধূ তার কাছে থাকা ধারালো ব্লেড দিয়ে করিমের পুরুষাঙ্গে আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে ওই গৃহবধূ বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা শেরপুর থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে পুলিশ হেফাজতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।