ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ |

EN

বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুপারভাইজার ও যাত্রী নিহত, আহত ২৫

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, মার্চ ২৪, ২০২৩

বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সুপারভাইজার ও যাত্রী নিহত, আহত ২৫
পিরোজপুরের রাজাপুর উপজেলার বরিশাল-পাথরঘাটা রুটের কানুদাসকাঠী গ্রামে বিআরটিসির একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার ও এক যাত্রী মারা গেছেন। 

নিহত সুপার ভাইজারের নাম মেহেদী হাসান (৪০)। তিনি বরিশালের জিয়া সড়কের আব্দুর রশিদ মৃধার ছেলে। নিহত অপর ব্যক্তি হলেন পারভেজ মিয়া। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন। তার বাড়িও বরিশালে। 

এ ঘটনায় বাসের অন্তত ২৫ যাত্রী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

গুরুতর আহত বাসচালক বরিশালের আব্দুর রজ্জাক মোল্লার ছেলে আবু মোল্লা (৪০), বামনা উপজেলার জিয়াউল হক (৪৫) ও সাথী বেগম (৩৩), বরিশালের রুপাতলী এলাকার আবদুস ছাত্তার হাওলাদারের ছেলে মন্টু হাওলাদারকে (৫৫) বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

আহত অন্যরা হলেন- ঝালকাঠী জেলার কুদরত আলীর ছেলে অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, ভাণ্ডারিয়ার রুহুল আমীন (৪০), আমুয়ার মজিবুর রহমানের স্ত্রী জাহানারা বেগম (৫৫), পাথরঘাটা কার্তিক চন্দ্রের ছেলে আমল দেবনাথ (৫০), শাসমুল হকের ছেলে কবির মোল্লা (৩৫), কাকচিরা মুক্তার জোমাদ্দারের স্ত্রী ইমু বেগম, পাথরঘাটার অমল দেবনাথের স্ত্রী রীতা দেবনাথ, পটুয়াখালীর মনিরুল ইসলামারে স্ত্রী তানজিলা বেগমকে (৩১)। তাদের সবাইকে ভাণ্ডারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

বাসের যাত্রীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে বরিশাল থেকে বিআরটিসির বাসটি যাত্রী নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। কিছুদূর আসার পরই বাসের চালক সবুর মোল্লা ও সুপারভাইজার মেহেদী হাসানের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এরপরই চালক বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিল। 

দুর্ঘটনার ৫ মিনিট আগেও বেপরোয়া গতিতে বাসটি চালাচ্ছিল বলে জানান বাসের যাত্রী জামাল শরীফ। উপজেলার কানুদাসকাঠী গ্রামে রাস্তার পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আঘাত করে। এতে খুঁটিটি উপড়ে পড়ে। এরপর বাসটি সেখানে থাকা একটি চম্পল গাছের সঙ্গে সজোরে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। তবে এতে কোনো পথচারী হতাহত হনয়নি।
 
বাসের বেপরোয়া গতিতে যাত্রীরা খুবই শঙ্কিত ছিলেন বলে জানান বাসের আরেক যাত্রী রোজী জামাল। 

খবর পেয়ে ভাণ্ডারিয়া ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভাণ্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন বলে জানান ভাণ্ডারিয়া ফায়ার স্টেশনের সাব-অফিসার আব্দুস সোবাহান। 

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় জানান, দুর্ঘটনায় দুইজন মারা গেছেন।