ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪ |

EN

যাদুকন্যা অহনার ক্যানভাস যাত্রা

জিহাদ হোসেন রাহাত, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৩

যাদুকন্যা অহনার ক্যানভাস যাত্রা
এ যেন যাদুর শহরে এক যাদুকন্যা। হাতের যাদুতে ক্যানভাস রঙিন করাই তার নেশা। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের আয়াত সংবলিত ক্যালিওগ্রাফি কিংবা দূর আরবের কাবা শরিফ- সবকিছুই স্থান পায় তার ক্যানভাসে। কংক্রিটের শহর ঢাকার ইট-পাথরের সাথেও রয়েছে তার হৃদ্যতার সম্পর্ক। প্রকৃতি,নদ-নদী,চিরায়ত বাংলার পথ-ঘাট,যান্ত্রিক কাঠামো,শাপলা বিলে নৌকো চলনসহ নানারূপের ক্যানভাস তৈরিতে দিওয়ানা এই যাদুকন্যার নাম অহনা। ক্যানভাস,ক্যালিওগ্রাফির পাশাপাশি করছেন হরেক রকম সৃজনশীল কাজ। 



বিশ বছর বয়সী অহনা নামের এই যাদুকন্যা এখন পর্যন্ত এঁকেছেন অন্তত দুই শতাধিক ক্যানভাস,ক্যালিওগ্রাফি। সুঁই-সুতোয় তৈরি করছেন দৃষ্টিনন্দন ব্যাগ। পুরোনো গ্লাস, ভেঙে যাওয়া কাঁচের তৈজসপত্রে রংতুলির আঁচড় দিয়ে সেগুলো করছেন পুনরায় ব্যবহারযোগ্য। কুড়িয়ে পাওয়া বোতলকে রুপ দিচ্ছেন কলম ধানীতে। মেধা খাটিয়ে তৈরি করা এসব জিনিসপত্র আবার বিক্রি করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খোলা একটি পেইজের মাধ্যমে। অহনা'স আর্ট স্টুডিও নামে খোলা পেইজটির ফলোয়ার প্রায় ১০ হাজার ছুঁইছুঁই। অহনার তৈরি এসব সামগ্রী বিক্রিও হচ্ছে হরদমসে। ঢাকার নামীদামী তৈজসপত্রের শোরুমগুলোয় দিচ্ছেন হোল সেল। পাচ্ছেন বিভিন্ন জনের ফরমায়েশ। 

যাদুর ছড়ি হাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জনপ্রিয়তা অর্জন করা এই যাদুকন্যার সাথে কথা বলেছেন ফ্রিডম বাংলা নিউজের ফিচার প্রতিবেদক জিহাদ হোসেন রাহাত।

তুলে ধরা হলো সেই আলোচনা-

প্রতিবেদক: কেমন আছেন?

অহনা(চিত্রশিল্পী)-: জি, আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

প্রতিবেদক: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি আপনি তৈরি করছেন বিভিন্ন শৌখিন সামগ্রী, আঁকছেন ক্যানভাস। অনুভূতি কেমন আপনার?

অহনা: আমার অনূভুতি কিভাবে প্রকাশ করবো বুঝতে পারছি না।তবে একজন ক্ষুদে শিল্পী হিসেবে আমি আমার কাজ নিয়ে গর্ববোধ করি।



প্রতিবেদক: কেমন করে শুরু করেছিলেন, অনুপ্রেরণা উৎস কী?

অহনা: আসলে আমার শুরুটা ছোটোবেলা থেকেই, মাঝেমধ্যে দু'একজনের কাছে শিখেছি। অনুপ্রেরণা বলতে, পুরোটাই আমার মায়ের অবদান।
মা আমায় ভীষণ ভালোবাসেন, আমার ভালো কাজে উৎসাহদানের পাশাপাশি সাহসও যোগান। তিনিই আমার অনুপ্রেরণার উৎস।

প্রতিবেদক: চিত্রকর্মে আপনার স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবরুপ লাভ করেছে, বলবেন কি?

অহনা: জি অবশ্যই। স্বপ্ন জয়ের বিষয়ে ভাবছি না। তবে স্বপ্ন দেখাও ছাড়ছি না। আমি শুধু কাজ করে যেতে চাই। জয়-পরাজয়ের মালিক সৃষ্টিকর্তা।



প্রতিবেদক: আপনার তৈরি শৌখিন তৈজসপত্রের চাহিদা কেমন?

অহনা: চাহিদার কথা বলবো না। তবে বিক্রি সন্তোষজনক। 

প্রতিবেদক: ধন্যবাদ আপনাকে।

অহনা: জি, আপনাকে এবং ফ্রিডম বাংলা নিউজকেও ধন্যবাদ।