ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, এপ্রিল ১৭, ২০২৪ |

EN

অর্থনীতি নয় রাজনীতিই হবে আগামী বিশ্বের প্রধান নীতিনির্ধারক

কলাম ডেস্ক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারী ২, ২০২৩

অর্থনীতি নয় রাজনীতিই হবে আগামী বিশ্বের প্রধান নীতিনির্ধারক
অর্থনীতিতে উন্নত অঞ্চল কিংবা দেশ, প্রায় সবগুলোরই সমৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে সুবুদ্ধি নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক ক্রমাগত সুন্দর কৌশলের মাধ্যমে। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম দুটি পরাশক্তি চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি তারা নিজেদের অর্থনীতিকে সচল, প্রবাহমান, শক্তিশালী ও গতিশীল রাখতে-দুই দেশের মধ্যাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক বৈঠক আলাপের খবরাখবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর কল্যাণে ইতোমধ্যেই হয়েছে বিশ্ববাসীর দৃষ্টিগোচর। সেই সব সংবাদে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে, অর্থনীতি রাজনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, অর্থাৎ রাজনীতিই হলো প্রধান নীতিনির্ধারক। যা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে।

বর্তমানে বিশ্বের যেসব দেশগুলোয় স্থিতিশীল রাজনীতির চর্চা হয় তারাই অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী। এখানে উদাহরণ স্বরুপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা তুলে আনা যেতে পারে, মার্কিনীদের রাজনীতি সুবুদ্ধি নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় তাদের অর্থনীতিও বেশ শক্তিশালী। তাদের রাজনৈতিক প্রতিটি পদক্ষেপ উন্মোচন করে অর্থনীতির নতুন দিগন্ত। শুধু তাই নয়, পুরো বিশ্বে তাদের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকায় বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণের রিমোট কন্ট্রোলারটিও রয়েছে তাদের হাতে। প্রসঙ্গ বিবেচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ইতিহাস তুলে ধরা যেতে পারে, উনবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে মুদ্রা আদান-প্রদান ও ছাপানোর ক্ষেত্রে গোল্ড স্যান্ডার্ড অনুসরণ করা হতো। পরে এটি রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৩১ সালে যখন গ্রেট ব্রিটেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড ত্যাগ করে তখন রাজনৈতিক দুরদর্শিতা দেখিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তা ত্যাগ করেনি। বরং তার দুবছর পর গোল্ড অ্যাক্ট করার মাধ্যমে পুরো বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সুচনা হয় দেশটির।

তাছাড়া বর্তমান সময়ে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও নিঃসন্দেহে একটি রাজনৈতিক সীদ্ধান্ত। এই যুদ্ধের ফলে স্থবির বিশ্ব অর্থনীতির একাংশ। এটি অর্থনীতিতে রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব হলেও এখানেও কিন্তু প্রধান প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান- রাজনীতি। আবার অর্থনৈতিক অর্থাৎ ব্যবসায়, বানিজ্য কিংবা ব্যাংকিং-অর্থনীতির যে আলোচনাই আসুক না কেন এসংক্রান্ত সকল গঠনমূলক বা আইন সিদ্ধ সকল প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় স্ব স্ব দেশের জাতীয় সংসদ বা হাউজ অব কমন্স গুলোয়। লক্ষ্য করলে দেখা যায়, এখানেও রাজনীতি প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান।এখানেও অর্থনীতির ভাগ্য রচিত হচ্ছে রাজনীতির হাতে। যেখানে অর্থনীতির ভাগ্যই রচিত হচ্ছে রাজনীতির হাতে সেখানে বলার অপেক্ষা রাখে না রাজনীতিই হবে আগামী বিশ্বের প্রধান নীতিনির্ধারক। 

সবুজ সোনালী এই বাংলাদেশের এতদূর এগিয়ে আসার পেছনেও রয়েছে রাজনৈতিক নানান ইতিহাস। হাজার বছরে শ্রেষ্ঠ বাঙালি মুক্তির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দুরদর্শি সিদ্ধান্তে দেশের স্বাধীনতা অর্জন কিংবা পরবর্তী সময় থেকে এখন পর্যন্ত দেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি অর্থাৎ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পেছনেও রয়েছে রাজনৈতিক ভূমিকা।  

রাজনীতির এমন চিত্র যেন ক্রুশবিদ্ধ না হয়ে অর্থনৈতিক বৈরিতা ডেকে আনতে না পারে সে ব্যাপারে সজাগ থেকে এগিয়ে যেতে হবে আগামীর স্বপ্নের সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। রাজনীতির চর্চা হোক দেশের প্রতিটি প্রান্তরে-অন্তরে লালিত হোক দেশ মাতৃকার উন্নতির বাসনা।