ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪ |

EN

লাখো মুসল্লির মোনাজাতে শেষ হলো কুড়িগ্রামের ইজতেমা

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২

লাখো মুসল্লির মোনাজাতে শেষ হলো কুড়িগ্রামের ইজতেমা
কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা মাঠে শুরু হওয়া তিন দিনের আঞ্চলিক ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে। 

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালেএই আখেরি মোনাজাত অনুষ্টিত হয়। 

বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এ ইজতেমায় দেশ ও জাতির শান্তি ও সম্মৃদ্ধি কামনা করে সকাল ৯টায় মুনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। এসময় আগত মুসল্লিদের মাঝে কান্নার রোল পড়ে যায়। মুনাজাত পূর্ব বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস হতে পারে না, আল্লাহ তা'আলাই সকল ক্ষমতার উৎস। এই বিশ্বাস সকল মুসলিমকেই লালন করতে হবে।  এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে লাখো মুসল্লিদের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া তিন দিনের এ ইজতেমায় উদ্বোধনী বয়ান করেন চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

তিনি ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটি, আগত মুসল্লি, সাংবাদিকবৃন্দ, ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের সকল সদস্য, এলাকাবাসীসহ নিপিড়ীত বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য মাগফিরাত কামনা করেন। এর আগে শুক্রবার বৃহত্তর জুমার নামাজে খুৎবা ও নামাজে ইমামতি করেন চরমোনাই পীরের ছোট ভাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই। 

নাগেশ্বরী উপজেলা থেকে আসা হাফিজুর রহমান নামের এক মুসল্লী বলেন, আমি গত বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে আসি। এখানে তিনদিন ধরে ছিলাম।
লাখ লাখ মানুষ এসেছে এখানে। আজ সকালে আখিরি মুনাজাতের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা শেষ হলো।
আমি প্রতি বছর ইজতেমায় আসি এবারেও আসছি।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন সরকার জানান, লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ফজরের নামাজ আদায় করা হয়। 
সকাল ৯টার দিকে আখেরি মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম মোনাজাতে নেতৃত্ব দেন। দোয়ায় বিশ্ব মানবতার কল্যান কামনা করে আল্লাহর সহায়তা ও রহমত প্রার্থনা করা হয়।' 

এছাড়াও তিনব্যাপী বয়ানে আরও অংশ নেন বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, নও মুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মুফতী রেজাউল করীম আবরার, রংপুর বিভাগীয় মুজাহিদ কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।