ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪ |

EN

মুক্তিপণ দিয়ে ৬ দিন পর মুক্ত ১৫ জেলে

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২২

মুক্তিপণ দিয়ে ৬ দিন পর মুক্ত ১৫ জেলে
পূর্ব সুন্দরবন থেকে অপহৃত ১৫ জেলে ছয় দিন পর মুক্তিপণ দিয়ে ডাকাতদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বুধবার ভোররাতে পৃথক তিনটি জেলে নৌকায় করে তারা লোকালয়ে পৌঁছান।

এদের মধ্যে তিনজন শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর ও চারজন সোনাতলা গ্রামে এবং আটজন মোংলার চাঁদপাই এসে পৌঁছান।

এদিকে ডাকাতের মারপিটে আহত তিনজনকে শরণখোলা থানা পুলিশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করিয়েছেন।

চিকিৎসা নেওয়া জেলেরা হচ্ছেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা কাসিমপুর গ্রামের সোহেল মল্লিক (২৮), মোংলা উপজেলার বাজিকর খণ্ডের আসাদুল শেখ (৩৫), রামপাল উপজেলার বেতকাঠা গ্রামের হানিফ হাওলাদার (৪৫)। এই তিন জেলের মহাজনরা টাকা দিতে না পারায় ডাকত দল তাদের মারপিট করেছে বলে তারা জানান।

এছাড়া শরণখোলা উপজেলার সোনাতলা গ্রামের জেলে সালাম হাওলাদার (৬৫), ইমাম খান (২৫), সোলেমান হাওলাদার (৩০) ও ইউসুফ হাওলাদার (৩৫) ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেড়ে এসেছেন বলে জানান।

অপরদিকে মোংলার চাঁদপাই ফিরে আসা জেলেদের মোংলা পুলিশ উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে। তারা হচ্ছেন- খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বুঝবুনিয়া গ্রামের আকরাম শেখ (৪২), রফিকুল খান (৩৫), মোংলা উপজেলার দক্ষিণ হলদিবুনিয়া গ্রামের মিলন শেখ (২৩), আনিস শেখ (২২), বৈদ্যমারী গ্রামের শুকুর আলী ব্যাপারী (৩০), মনির ব্যাপারী (৩৫), রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামের বকতিয়ার ব্যাপারী (৩৫) এবং রূপসা উপজেলার আলি শিকদার (৪৮)।

ফিরে আসা জেলেরা জানান, মঙ্গলবার রাতে সুন্দরবনের হরিণটানা এলাকার একটি খালে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তারা সারা রাত নৌকা চালিয়ে বুধবার ভোরে লোকালয়ে এসে পৌঁছান।

তারা জানান, নয়ন বাহিনী নাম দিয়ে সাতজনের নতুন এ ডাকাত দলের কাছে দুইটি পাইপগান ও বেশ কয়েকটি দা রয়েছে। ডাকাত দলের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে এখনো একটি ট্রলারসহ কয়েক জেলে জিম্মি রয়েছেন।

এদিকে ডাকাতদের কবল থেকে জেলে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে শরণখোলায় প্রেস ব্রিফিং করেছেন বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।

পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের জানান, সুন্দরবনে জেলে অপহরণের খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সুন্দরবনকে ডাকাতমুক্ত রাখতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উদ্ধারকৃত জেলেদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে ডাকাতদের গ্রেফতার করা হবে।

গত ১৫ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে নতুন এ ডাকাত বাহিনী সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের হরমাল খাল ও বেরির খালে কাঁকড়া শিকার করার সময় হামলা চালিয়ে এসব জেলেদের অপহরণ করে তাদের অস্তিত্ব জানান দেয়।