ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪ |

EN

কাশিমপুর কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, নভেম্বর ২২, ২০২২

কাশিমপুর কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুরান ঢাকার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

সোমবার সকাল থেকে কারাগারের প্রধান ফটকে দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীদের ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে জনবল। এছাড়া গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন কারাগার এলাকা নজরদারি রাখছেন বলে জানা গেছে।

কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর ডেপুটি জেল সুপার আলি আফজাল বলেন, কারাগারে সব সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। তবে রোববারের ঘটনার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে আরপি চেকপোস্টে ৫ থেকে ৬ জন দায়িত্বে থাকলেও এখন ১০ জন নিয়োজিত। কারাগারে আসামি পাঠানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, রোববারের ঘটনায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তারপরও বিষয়টি নজরদারিতে রেখেছেন। এছাড়া কাশিমপুর কারাগার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোববার গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) হেফাজতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়েছিল। দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশ সদস্যদের চোখে স্প্রে করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি মইনুল হোসেন শামীম ও মো. আবু ছিদ্দিক সোহেলকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।

মইনুল হোসেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও আবু ছিদ্দিক লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটোশ্বর গ্রামের বাসিন্দা। পালিয়ে যাওয়া দুজন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (সাবেক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সদস্য। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।