বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ মীর নিসার আলী তিতুমীরের ১৯১ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতি (সতিকসাস)।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বাদ যোহর কলেজের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও এশিয়ান টেলিভিশনের প্ল্যানিং এডিটর রফিকুল ইসলাম রলি।
বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল নুর ইসলাম।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাব্বি হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন নিশাদ, দপ্তর সম্পাদক ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক সাহেদুজ্জামান সাকিব, প্রচার সম্পাদক মামুনুর রশিদ, কার্যনির্বাহী সদস্য মামুনুর হৃদয় সহ সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ।
এ বিষয়ে সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, শহীদ তিতুমীরের ১৯১ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। শহীদ তিতুমীর একটি ইতিহাস ও একটি নাম যা মানুষকে আজও অনুপ্রেরণা দেয়। সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার বিটিশ বিরোধী আন্দোলনের পথিকৃৎ সৈয়দ মীর নিসার আলী তিতুমীর। শহীদ তিতুমীরের ত্যাগ বাংলার মানুষ চিরদিন মনে রাখবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণার উৎস হিসাবে কাজ করেছে এই ত্যাগের বীরত্ব। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ কলেজ কে তার নাম অনুসারে সরকারি তিতুমীর কলেজ নামকরণ করা হয়। আমরা এই মহান ব্যক্তিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে পেরে গর্বিত। আশা করছি এ ধারা বজায় থাকবে।
তিতুমীর কলেজ সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.শাহাদাত হোসেন নিশাদ বলেন, সৈয়দ মীর নিসার আলী একটি ইতিহাস ও একটি নাম যা প্রতিনিয়ত মানুষকে অনুপ্রেরণা দেয়। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, ঐতিহ্যবাহী এই কলেজটি এমন একজন মহান ব্যক্তির নামে হলেও কলেজের পক্ষ থেকে তাঁর জন্ম ও মৃত্যু বার্ষিকীতে কোন আয়োজন নেই। আমরা চাই কলেজ প্রশাসন এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিবে।