দোয়া শব্দটি আক্ষরিক বিবেচনায় ছোট হলেও এর ক্ষমতার ব্যাপকতা ও বিস্তৃতি সত্যিই পরিমাপ করা বড় কঠিন। প্রভু ও বিত্তের মাঝে চাওয়া-পাওয়ার সেতু নির্মাণকারী দোয়া।
একজন ক্ষুদ্র দাস মালিকের কাছে অনুনয়-বিনয় করে ভিক্ষা মাঙছে, আর মনিব তাকে খুশি হয়ে সব দিয়ে দিচ্ছেন। এ যেন একে অপরের সঙ্গে বোঝাপড়া। দোয়া মহান রবের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য বিশেষ এক উপহার। মুমিনের হাতিয়ারও বটে। সব ক্ষমতা যেখানে অকার্যকর, দোয়ার ক্ষমতা সেখান থেকে শুরু হয়।
নিম্নে দোয়ার ১২টি আদব তুলে ধরা হলো-
* দোয়ার আগে ওজু করা। (সহিহ বুখারি-৪৩২৩)
* কিবলামুখী হয়ে দোয়া করা। (সহিহ বুখারি-১০০৫)
* হাত তুলে দোয়া করা। (সহিহ বুখারি-২৮৮৪)
* দোয়ার শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা ও রাসূল (সা.)-এর প্রতি দরুদ-সালাম পাঠ করা। (সহিহুল-জামি-৩৯৮৮)
* চোখের পানি ছেড়ে দোয়া করা।
* নীরবে দোয়া করা। (সূরা আরাফ আয়াত-৫৫)
* নিজের পাপ স্বীকার করা। (সহিহুল-জামি-১৬৫৩)
* কায়মনবাক্যে কাকুতি-মিনতি করা।
(সহিহ মুসলিম-২১৮৯)
* আল্লাহর গুণবাচক নাম ধরে দোয়া করা।
(নাসায়ী-১৩০০)
* নিজেকে মহান রবের কাছে ছোট করে উপস্থাপন করা।
* দোয়া শেষে আমিন বলা। (সহিহ বুখারি-৭৮১)
* দোয়ার পর দুহাত মুখে নিয়ে মাসেহ করা। (সুনানে ইবনে মাজাহ-৩৮৬৬)