ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪ |

EN

ডাইনিং বন্ধতে ভোগান্তিতে দিনপার করছে কুবির দুই হলের শিক্ষার্থীরা

নাজমুস সাকিব, কুবি প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, নভেম্বর ৭, ২০২২

ডাইনিং বন্ধতে ভোগান্তিতে দিনপার করছে কুবির দুই হলের শিক্ষার্থীরা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ও কাজী নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিং একমাসের মত বন্ধ হয়ে আছে। ডাইনিং বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে দিনপার করছে দুই হলে অবস্থানরত প্রায় চারশত শিক্ষার্থী। হলে খাবার না থাকায় বাইরের বিভিন্ন নিম্নমানের হোটেলে চড়া দামে অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনে খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। 

এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিবছর হলগুলোর ডাইনিং পরিচালনায় বিদ্যুত, পানি, গ্যাস, আসবাবপত্র এবং কর্মচারীদের বেতন বিশ্ববিদ্যালয় বহন করলেও বন্ধ হয়ে পরে থাকে ডাইনিং। ডাইনিং পরিচালনার জন্য এসকল আয়োজন থাকার পরেও কেনো ডাইনিং চলে না তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হলেও উত্তর মেলাতে পারে না কেউ। দীর্ঘদিন  ধরে ডাইনিং বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা রান্না কাজে বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহার করতেছে। এতে করে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশঙ্কা যেমন থাকে তেমনি আগের থেকে দ্বিগুণ  বৈদ্যুতিক বিল আছে। 

এ বিষয়ে কথা হয় দুই হলের বাবুর্চি, ডাইনিং ম্যানেজার ও প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীদের সাথে। তাদের অভিযোগ, ডাইনিংয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা টাকা দিয়ে খেলেও অনেক নেতাকর্মী ফ্রি খায়, আর তাই ডাইনিং চালাতে হিমশিম খেতে হয় দায়িত্বরত ম্যানেজারদের। একপর্যায়ে ডাইনিং বন্ধই করে দিতে বাধ্য হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বাহিরে কোনো হোটেলে এক পিস মুরগি কিংবা মাছ দিয়ে ভাত খেতে গেলে খরচ হয় প্রায় ৭০-৮০ টাকা। আর হলে ডাইনিং চালানো গেলে ৩৫ টাকায় এই খাবার খাওয়া যেত। যে নেতাকর্মীরা ডাইনিং ঠিকঠাকভাবে চলে কিনা দেখা উচিত ছিল তারা প্রায় অনেকেই ফ্রি খায়। আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর চাপ তৈরি হয়।

এই ব্যাপারে নজরুল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো: হাসিব হাসান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হলে যে টাকা দিয়ে যে খাবার খাই, সেই খাবার বাইরে খেতে গেলে তার চেয়ে বেশি টাকা লাগে, তার জন্য মাস শেষে অনাকাঙ্খিত একটা বাজেট চলে আসে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি যেন অতিদ্রুত ডাইনিং গুলো চালু করে দেয়।

দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমন শাহরিয়ার বলেন,  বাইরে ভালো মানের খাবার পাওয়া যায় না আর পাওয়া গেলেও সেটার দাম অনেক বেশি। তাছাড়া আমাদের অনেকটুকু পথ হেটে গিয়ে খাবার খেতে হয় এতে আমাদের সময়ের অপচয় হয়। যদি ডাইনিং চালু থাকতো তাহলে আমাদের সময় বাঁচতো।

ডাইনিং বন্ধ থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, হলের প্রায় প্রায় বেশিরভাগ ছাত্র ডাইনিং চললেও বাইরে খাওয়া দাওয়া করে। যেহেতু অল্প কয়েকজন ছাত্র ডাইনিংয়ে খাওয়া দাওয়া সেহেতু অল্প কয়েকজন ছাত্রের জন্য ডাইনিং চালু রাখা কঠিন। আগামীকাল এই বিষয়ে আমরা মিটিং করবো। ছাত্রদের কাছে জানতে চাইবো কেন তারা বাইরে খায় এবং এর সমাধান করার চেষ্টা করবো।

একই ব্যাপারে নজরুল হলের প্রভোস্ট ড. মিহির লাল ভৌমিক বলেন, হলের ডাইনিংয়ে খুব কম শিক্ষার্থী খাওয়া দাওয়া করে। হলের যে ম্যানেজার তার পক্ষে  ডাইনিং চালানো কষ্টকর হয়ে পরে। আমি আবার উদ্যোগ নিয়েছি । আশা করি আগামী সপ্তাহ থেকে আবার চালু হবে।