ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ১৮, ২০২৪ |

EN

ফুলবাড়ীতে অটো রিক্সা চালককে কাঁচি দিয়ে খুচিয়ে হত্যা

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: রবিবার, অক্টোবর ৩০, ২০২২

ফুলবাড়ীতে অটো রিক্সা চালককে কাঁচি দিয়ে খুচিয়ে হত্যা
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে মো. জনি আহম্মেদ (২১) নামের এক আটো রিক্সা চালককে কাঁচি দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

এঘটনায় ছিনতাই হওয়া অটো রিক্সা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া-মাছুয়াপাড়ার মাঝামাঝি ইট ভাটার পূর্ব দিকে ইউক্যালিপ্টাস বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধারটি করেছে থানা পুলিশ।

নিহত জনি আহম্মেদ, উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর, দক্ষিণ বাসুদেপুর (ডাঙ্গা) গ্রামের মো. আতাউর রহমানের ছেলে। সে পেশায় একজন অটো রিক্সা চালক ছিলেন।

থানা পুলিশ ও পারিবার সূত্রে জানাগেছে, জনি প্রতিদিনের মতো শনিবার দুপুরে বাড়ী থেকে অটো রিক্সা নিয়ে বেরিয়ে যান। এরপর আর বাড়ী ফেরেনি। রাত গভীর হলে স্বামী বাড়ী না ফেরায়, তার স্ত্রী কাজলরেখা বিষয়টি তার বাবা গিয়াস মন্ডলকে জানান। এরপর পরেরদিন রোববার সকালে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে কাজলরেখার মা রাবেয়া বেগম জনির মরদেহের ছবি দেখে জানতে পারেন এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেন।

এর আগে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে পার্বতীপুর উপজেলার হলদিবাড়ী এলকায় কিছু লোক আড্ডা করছিল। এসময় টহল পুলিশ ধাওয়া করলে, তারা অটো রিক্সা রেখে পালিয়ে গেলে অটোরিক্সাটি পুলিশ হেফাজতে নেয় এবং পরে রিক্সায় গায়ে লেখা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে জানতে পারে অটোরিক্সাটি জনির ছিল।

জনির শাশুড়ি রাবেয়া বেগম বলেন, শনিবার দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে অটো রিক্সা নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। এরপর আর ফেরেনি। পরে তার মেয়ে কাজল রেখা বিষয়টি তাদের জানালে, তারা খোঁজা-খুঁজি করে জানতে পারেন, তার অটো রিক্সাটি পার্বতীপুর থানা হেফাজতে কিন্তু জামাই জনিকে পাওয়া যায়নি।

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. নূরুল ইসলাম বলেন, জনি আমার এলাকার দক্ষিণ বাসুদেবপুর (ডাঙ্গা) গ্রামের বাসিন্দা। সে অটো রিক্সা চালাত। ওই অটো রিক্সাকে কেন্দ্র করেই এই হত্যাকান্ড হতে পারে।

এদিকে রোববার সকালে খবর পেয়ে ফুলবাড়ী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান ও ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফুল ইসলাম এবং পুলিশ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তের কাজ করেন।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে প্রথমে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। তারা ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিচয় সনাক্ত করে এলাকাটি ক্রাইম স্কীন হিসেবে ঘিরে রাখে। এবং সেখান থেকে কিছু আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল কারার সময় জনির গলায় ছোট কাঁচি দিয়ে খুচিয়ে ফুটো করা হয়েছে এমন অনেকগুলো ফুটো দেখা যায় এবং ঘটনাস্থলে একটি ছোট কাঁচি পাওয়া গেছে যাতে রক্ত লেগে ছিল। অতিরিক্ত রক্ত খরনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদেন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডেকিল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার প্রস্ততি চলছে।