ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪ |

EN

আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলন সভামঞ্চে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৭

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, অক্টোবর ৩০, ২০২২

আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলন সভামঞ্চে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আহত ৭
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলনে দুই গ্রæপের হামলার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে চাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহবুবুল ইসলামের নেতৃত্বে সভা মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃব্দের সামনে বরিবার দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মোবাইল ও ক্যামেরা লুট করা হয়েছে। এতে ৭ সাংবাদিক আহত হয়েছে।  

জানাগেছে, আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলন রবিবার বেলা ১২ টায় শুরু হয়। সভা শুরুর ৩০ মিনিট পরে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খানের উসকারী মুলক বক্তব্যে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায় সংঘর্ষে রুপ নেয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া নিবৃত করতে কেন্দ্রিয় আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আফজাল হোসেন  ও সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাধ শম্ভু চেষ্টা করেন। দুই গ্রæপের মারধরের তথ্য সংগ্রহ করতে সাংবাদিকরা সভামঞ্চে যান। সভা মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম সাংবাদিকদের গালিগালাজ ও লঞ্চিত করেন। সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের উপর হামলা করে। এ হামলায় ৭ জন আহত হয়। আহত সাংবাদিকরা হলো মোঃ সোহাগ মিয়া, অ্যাড.শাহাবুদ্দিন পান্না, সিফাত, সোহাগ হাফিজ, সাইফুল ইসলাম, জাহিদ ও মাহবুবুল আলম। আহত সাংবাদিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড.আফজাল হোসেন চাওড়া চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে নিষেধ করা সত্তে¡ও তারা নিবৃত হয়নি। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা সভা পন্ড করে সভামঞ্চ ত্যাগ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, আখতারুজ্জামান বাদল খান ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল অহেতুক সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে।

বরগুনা জেলা টিভি সাংবাদিক ফোরামের সাবেক সভাপতি ও ২৪ টিভির স্টাফ রিপোটার মোঃ আবু ছালেহ বলেন, সাংবাদিকরা আওয়ামীলীগ সম্মেলন মঞ্চের তথ্য সংগ্রহ করতে সভা মঞ্চে গেলে চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান ও তার মামাতো ভাই উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম অহেতুক সাংবাদিকদের উপর হামলা করেছে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি সাংবাদিক লাঞ্চিতের ঘটনায় বিচার দাবী করেন।

বরগুনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ হাসান ঝন্টু বলেন, কেন্দ্রিয় নেতা অ্যাড, আফজাল হোসেন ও সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সামনে সাংবাদিক লাঞ্চিত করার ঘটনা অত্যান্ত নিন্দনীয়। তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রিয় নেতা আফজাল হোসেন ও সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু নিধেষ করা সত্তে¡ও বাদল খান ও তার ভাই মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের উপর হামলা করতে নিবৃত হয়নি।  পরে কেন্দ্রিয় নেতারা সভা মঞ্চ ত্যাগ করেন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী জানাই।

উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খানের সাথে তার মুঠোফোনে (০১৭৯৮৯৩১৫৩২) যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা দুঃখজনক ঘটনা, আমি সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।