ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪ |

EN

লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত ফুলবাড়ীর কৃষকরা

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: শনিবার, অক্টোবর ২২, ২০২২

লাভের আশায় আগাম আলু চাষে ব্যস্ত ফুলবাড়ীর কৃষকরা
অধিক লাভের আশায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকরা এখন আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সারাদিন রোদে পুড়ে জমি তৈরী সহ বীজ বপনে ব্যাস্ত,যেন দম ফেলানোর ফুরসত নেই তাদের।

 উপজেলার উঁচু-ডাঙা জমি গুলোতে ৫০ থেকে ৫৫ দিনে উত্তোলনযোগ্য বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের আগাম আলুর বীজ বপন করছেন তারা। মাঠের পর মাঠ জুড়ে যেন আলু বপনের প্রতিযোগিতা চলছে কৃষকদের।মৌসুমের শুরুতে বাজারে নতুন আলুর চাহিদা থাকে প্রচুর এবং দামও বেশ ভালো পায় সে কারনে তাদের আগ্রহ।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, রবি মৌসুমে এক হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে ২৪মেট্রিকটন শাক-সবজি ফলন হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ৪৬হাজার ৫৬০মেট্রিকটন। সেইসাথে চলতি বছর ১ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতি বছর আগাম আলু চাষে প্রান্তিক-মাঝারি ও বর্গা চাষিরাও লাভবান হয়। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় স্বল্প মেয়াদি আগাম আমন ধান ঘরে তুলে, সেই জমি আলুর জন্য প্রস্তুত করতে হালচাষ, পরিচর্যা, সার প্রয়োগ ও হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ ও বপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন সবাই।

উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের আমডুঙ্গি (আলুরডাঙ্গা) গ্রামের আলুচাষি শামিম হোসেন জানান, আলু লাগানোর এই প্রতিযোগিতা জানান দেয়, যার আলু যত আগে উঠবে সে কৃষক তত বেশি ভাল দামে বিক্রি করবেন। ভোক্তার কাছে আগাম আলু দিতে পারলে চড়া বাজার মূল্য পেয়ে দ্বিগুণ লাভবান হবেন, এমন প্রত্যাশা কৃষকের।

সরেজমিন দেখা মেলে, মাঠের পর মাঠ আগাম আলু চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। যেন দম ফেলানোর ফুরসত নেই।



উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের কৃষক আমিনুল  ৮ বিঘা, বেলাল হোসেন ২ বিঘা, রাসেল ৩ বিঘা জমিতে আগাম আলু বপন করেছেন। তারা জানান, আগাম আলু উত্তোলন করতে পারলে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বাজারে নতুন আলু বিক্রি করতে পারবেন। এতে তারা লাভবান হবেন।

বেলাল হোসেন জানান, এই অঞ্চলের জমিগুলো উঁচু এবং বালুমাটি মিশ্রিত। 

তবে  শুষ্ক মাটিতে মাঝে মাঝে সেচ দিতে হয়। ভারি বৃষ্টিপাত হলেও তেমন কোনও বড় ধরনের ক্ষতির ভয় থাকে না। তাই আগে ভাগে দ্বিগুণ লাভের আশায় আগাম আলু বপন করছেন। তিনি আগাম জাতের রোজাডা আলুর বীজ বপন করছেন। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার জানান, চলতি বছর ১ হাজার ৯৯৪ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি বছর  শীতের শুরুতে বাজারে আগাম জাতের নতুন আলুর দাম বেশ ভালো থাকে। এতে কৃষক লাভবান হয়। তাই লাভের আশায় আগাম আমন ধান কেটে, সেই জমি প্রস্তুত করে আবারও সেই জমিতে আগাম জাতের আলুচাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কৃষকরা। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় উঁচু জমিতে আলুচাষে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নিচু জমিতে আবহাওয়া দেখে বপনের কথা বলা হচ্ছে।তিনি বলেন, আগাম আলু চাষ করে কৃষক বাড়তি আয় করতে পারে বলেই আগাম আলু চাষে বেশি আগ্রহী তারা।