ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪ |

EN

ছাগলনাইয়ায় ঘোপালে শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরনো সড়ক বন্ধ

উপজেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, অক্টোবর ১৫, ২০২২

ছাগলনাইয়ায় ঘোপালে শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরনো সড়ক বন্ধ

ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নে প্রায় ৬০ বছরের পুরনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বিদ্যালয়টি।

ঐ এলাকার জনগনের শিক্ষা গ্রহনের একমাত্র বিদ্যাপীঠটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী সেখানে পড়াশুনা শেষ করে দেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে এলাকার মানুষের বাধা প্রদান করার পরও বিদ্যালয়টির পাশে প্রায় ৩৫ একর ফসলি জমির উপর নির্মিত হচ্ছে ইউনিটেক্স গ্রুফের শিল্প কারখানা।ইতোমধ্যে উক্ত ভূমিতে বালু ভরাট করে কারখানা চালুর প্রস্তুতি চলছে । এবং অল্প সময়ের মাঝে সেখানে  শিল্প কার্যক্রম চালু হবে। বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার একমাত্র সড়কটির দীর্ঘ এক কিলোমিটারের মাঝে তিনশত মিটার সড়ক দখল করে চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছে ইউনিটেক্স গ্রুফ। সড়ক বন্ধ করার সময় এলাকাবাসি বাধা দিলেও  কারখানা কর্তৃপক্ষ না শুনে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। সড়কটি বন্ধ করে দেয়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে চরম বিপাকে পড়েছে।পাশে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়ক হওয়ায় শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে চলাচল করতে হয়।যেকোন সময় ঘটতে পারে প্রাণহানি।স্থানীয় সংসদ সদস্য সড়কটির সংস্কারের জন্য ডিও লেটার প্রদান করলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ সড়কটি বন্ধ করে রাখায় সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছেনা।

স্থানীয় এলাকাবাসি সড়কটি খুলে দেয়ার জন্য মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভা করে।এবং সেখানকার মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে বিদ্যালয়ের সড়কটি খুলে দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করে ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এনামুল হক।ফেনী ১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে শিল্প কারখানা স্থাপন করা যাবেনা।শীঘ্রই মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সড়কটি খুলে দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরায় চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।তবে এব্যপারে ইউনিটেক্স গ্রুফের কোন কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা রাণী দাস বলেন আবেদনটি হাতে পেয়েছি আমাদের নতুন উপজেলা প্রকৌশলী এসেছে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন যাচাই বাছাই করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।দীর্ঘ অর্ধশত বছরের পুরনো মুহুরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের একমাত্র সড়কটি  ইউনিটেক্স গ্রুফ থেকে শীঘ্রই দখলমুক্ত করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য পুনরায় যাতায়াতের সুব্যবস্থা করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর।