ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

পানিবন্দি হাজারও মানুষ, স্থায়ী সমাধানের দাবি

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, অক্টোবর ৭, ২০২২

পানিবন্দি হাজারও মানুষ, স্থায়ী সমাধানের দাবি
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ছয় গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তা ডুবে যায়, বসতবাড়ির আঙিনায় চলে আসে পানি। এ সময় শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া, হাটবাজারসহ যে কোনো প্রয়োজনে মানুষের যাতায়াত সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে। 

বৃষ্টি হলেই সড়কের পানিতে পানিবন্দি হয়ে পড়ে কয়েকটি গ্রামের হাজারও মানুষ। চারদিকে পানি থাকায় ঠিকমতো কর্মক্ষেত্রে যেতে পারেন না অনেকেই। নিত্য আয়ের মানুষগুলো বেকায়দায় পড়েন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থায়ী পানি নিষ্কাষণের দাবি জানিয়েও কোনো সমাধান হচ্ছে না। 

ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা না থাকায় এ দুর্ভোগ পোহায় গ্রামবাসী। কিছু কিছু পরিবার নৌকা ব্যবহার করে পানি পার হয়ে হাটবাজারে যাতায়াত করতে বাধ্য হন। দাশুড়িয়ার কারিগড়পাড়া, কলেজপাড়া, দাশুড়িয়া মাদ্রাসা, সরাইকান্দি, হঠাৎপাড়া, লক্ষ্মীখোলা পানিবন্দির আওতায় রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছে বলে জানান এলাকাবাসী। 

সবজি চাষাবাদ, হাঁস-মুরগির ঘর ও মাছের খামারসহ তলিয়ে গেছে। শুধু পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচশ পরিবার। 

স্থানীয় বাঁশি কর্মকার, হরিকমল সরকার, মো. আখতারুজ্জামান, মো. জনি, মানিক, মো. সোহেল রানা, মো. শাহিন মণ্ডলসহ অনেকেই জানান, দাশুড়িয়া মোড়ের পাশ থেকে কলেজপাড়া, কারিগরপাড়ার প্রধান সমস্যা হলো জলাবদ্ধতা। বছরের পর বছর আমাদের এ সমস্যায় ভুগতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। 

এলাকাবাসী আরও জানান, রান্না করার চুলা ডুবে যায়। গোসলখানায় পানি ওঠে। বাধ্য হয়ে বাইরের উঠানের এক পাশে অস্থায়ী গোসলের জায়গা করা হয়েছে। প্রতি বছরই বর্ষায় এ এলাকায় পানি জমে। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম ডাবলু বলেন, এলাকাগুলো আমি নিজেই পরিদর্শন করেছি। এলাকাবাসী খুবই কষ্টের মধ্যে আছে। পানির কারণে চর্মরোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি। 

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বকুল সরদার জানান, বিষয়টি শুনেছি। পানি নিষ্কাষণের জায়গা না থাকায় এলাকাগুলো পানিবন্দি হয়েছে। আগামীতে যেন না হয় সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।