ঝালকাঠির পোনাবালিয়া এলাকায় জোরপুর্বক জমি দখল, বাড়িঘর ভাংচুর এবং অন্যের জমিতে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খান (মাসুক) এর নামে।
ঘটনার প্রতিবাদে জুলফিকার আলীর গ্রামের বাড়ী ঝালকাঠিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভুগী স্বজন এবং জমির ওয়ারিশ গন। শনিবার ১ অক্টোবর বেলা ১২ টায় ঝালকাঠি শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামের সামনের সড়কে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মাববন্ধন শেষে লিখিত ভাবে ঘটনার বর্ননা দেন অভিযোগকারীরা। লিখিত ঐ কাগজে তারা লিখেছেন, 'ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রয়াত শওকত আলী খানের পুত্র জুলফিকার আলী খান (মাসুক হুজুর) অবৈধভাবে অন্যের জমি দখল ও বাড়িঘর ভাংচুর করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ করছেন।'
জমির ওয়ারিশ মামুন খান, রেজা খান, সাইদ খান, অভি খান জানান, 'বিরোধীয় সম্পত্তির ৩ এর ১ অংশের অংশিদারদের নিয়ে আমরা চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর ঝালকাঠির একটি আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেছি। যাহার নম্বর এম.পি ৬১৭। এর পরেই ঝালকাঠি সদর থানার ওসি'র সহযোগীতায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শান্তি ভঙ্গের কোন কারন না ঘটে সে কারনে উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়ে আসে। কিন্তু জজ সাহেবের নির্দেশে তার ছোট ভাই আবু মইন খান (মামুন) ভাড়াটে মাস্তান নিয়ে জোর জবরদস্তি করে এবং বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় সম্পত্তিতে নির্মান কাজ শুরু করে। বিষয়টি ঝালকাঠি জেলা পুলিশের উর্ধোত্বন কর্মকর্তাদের জানানো হলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মইনুল হক এবং সদর সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত কুমার দে এর নির্দেশে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আবারো কাজ বন্ধ করে দেয়।'
লিখিত পত্রে আরো উল্লেখ করা হয় যে, 'গত বছর (২০২১সালে) জুলফিকার আলী খান বিচারকের ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঝালকাঠি জেলা শাখার সভাপতি
গোলাম সাঈদ খানের বসত বাড়ি নির্মম ভাবে ভেঙ্গে দিয়ে ৭ শতাংশ জায়গা দখল করে পাঁকা প্রাচীর নির্মাণ করেছিলো। সেই সময়ও তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামালপুরের জেলা ও দায়রা জজ জুলফিকার আলী খান মুঠোফোনে বলেন, 'আমি আমার জমিতে ভবন নির্মান কাজ করতেছি, অভিযোগকারীরা আমার বিরুদ্ধে সরযন্ত্র করছে।'
ঝালকাঠি, প্রতিনিধি |
আপডেট:
শনিবার, অক্টোবর ১, ২০২২ 
