ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কবরস্থান-বাড়ির জায়গা দখলের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২

১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে কবরস্থান-বাড়ির জায়গা দখলের অভিযোগ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় দুই প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দেওয়াল তুলে কবরস্থান ও বাড়ির জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকালে (২৬ সেপ্টেম্বর) কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের বানারঝোড় মৌজার করফা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, করফা গ্রামের মৃত মহসিন গাজীর ছেলে মিন্টু গাজী দীর্ঘদিন ধরে তার পৈতৃক ভিটায় ৫৭ শতাংশ জায়গার ওপর পাকা ভবন নির্মাণ ও বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ লাগিয়ে বসবাস করে আসছেন। গত কয়েক মাস ধরে একই গ্রামের আব্দুল হাকিম শেখের ছেলে প্রভাবশালী মিল্লাত শেখ ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের মৃত লুৎফর রহমান শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ এই বসত ভিটার ৩৮ শতাংশ জায়গা নিজেদের বলে দাবি করেন।

ঘটনার দিন মিল্লাত শেখ ও ফয়সাল শেখ লোকজন নিয়ে দেওয়াল তুলে ৩৮ শতাংশ জায়গা দখল করে নেয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে মিল্লাত ও ফয়সাল শেখের লোকজন মিন্টু গাজীর মা পেয়ারা বেগমকে (৬০)  মারধর করেন।

মিন্টু গাজী বলেন, আমি আমার পৈতৃক ভিটায় বসবাস করছি। এখানে রয়েছে আমার বাপ-দাদার কবর। মিল্লাত ও ফয়সাল অবৈধভাবে জোর করে আমার এই বাপ-দাদার ভিটার ৩৮ শতাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছে। তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে দেওয়াল তুলে আমার বাপ-দাদার কবরস্থানসহ বাড়ির জায়গা দখল করে নিয়েছে। আমি আমার জায়গা ফেরত পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মিন্টুর মা পেয়ারা বেগম বলেন, গত রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই জায়গার উপরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। এই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিল্লাত ও ফয়সাল আমাদের জায়গার ওপর দেওয়াল নির্মাণ করেছে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে মারধর করে।

এ বিষয়ে ফয়সাল শেখের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা মিন্টু গাজীর জায়গা দখল করিনি। আমরা গত সোমবার আমাদের জায়গায় দেওয়াল নির্মাণ করতে ছিলাম। দুপুরে পুলিশ এসে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কথা জানালে আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ ও পেয়ারা বেগমকে মারধর করিনি।

মিল্লাত শেখ বলেন, আমরা করফা গ্রামের মৃত হাসেম গাজীর ছেলে আক্কেল আলী গাজী ও মুনসুর আলী গাজীর কাছ থেকে এই জায়গা ক্রয় করেছি। আমরা আমাদের জায়গার উপরে দেওয়াল নির্মাণ করেছি। মিন্টু আমাদের বিরুদ্ধে জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।

কোটালীপাড়া থানার এএসআই মো. এরশাদ হোসেন বলেন, আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞার কপি হাতে পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। মিল্লাত শেখ ও ফয়সাল শেখ এরপরও যদি কাজ করে তাহলে আইনগতভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।